ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব উঠবে কার হাতে, এই মূহূর্তে এটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে বোর্ডের। জিম্বাবুয়ের সিরিজে তিনি আর হয়ত কোনও ভাবেই দায়িত্ব সামলাবেন না।
গত ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও দল জিততে পারেনি। এবার তাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই আর কোচের পদে থাকতে চাইছেন না রাহুল। এদিকে চলতি বছরের শেষেই রয়েছে গুরুত্বপূ্র্ণ বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি, যা টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের অঙ্গ। সেই সিরিজে টিম ইন্ডিয়া যদি ভালো পারফরমেনস করতে পারে, তাহলে ফের একবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার সুযোগ পাবে ভারত। তাই হাতে কিছুটা সময় নিয়েই কোচ বাছাইয়ের কাজটা সেরে ফেলতে চাইছে বিসিসিআই।
ইতিমধ্যেই কোচের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিসিসিআই। স্পষ্ট গাইডলাইনও রয়েছে ভারতের কোচ হওয়ার জন্য। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল নতুন তথ্য। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার নাকি ইতিমধ্যেই রাহুল দ্রাবিড়কে কোচের পদে থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তাকে আরও ১ বছর দলের দায়িত্বে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখতে চাননি ভারতীয় ক্রিকেটের দ্য ওয়াল। স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন মেয়াদ শেষ হলে আর থাকবেন না তিনি।রাহুল যদি টি২০ বিশ্বকাপ জেতেন, তাহলে বিষয়টা অন্যরকম হলেও হতে পারে। কিন্তু একাধিক বিশ্বকাপে দল ব্যর্থ হলে তিনি আর এই পদে বহাল থাকতে চাননা।
এরই মধ্যে আরেক সাবেক ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণও নাকি জানিয়েছেন তিনি ভারতীয় দলের কোচের পদে আবেদন করবেন না। সঠিক মানের ভারতীয় কোচ না পেলে সেক্ষেত্রে বিদেশি কোচের পথে হাঁটতে পারে টিম ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য ২০০৩ বিশ্বকাপের সময় ভারতের কোচ ছিলেন জন রাইট। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছিলেন গ্যারি কার্স্টেন।
তবে ডানকান ফ্লেচারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত এক দশকে ভারতীয়রাই কোচের পদে থেকেছেন। যদিও এরই মধ্যে নাম ভাসছে কিউয়িদের সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নাম। শোনা যাচ্ছে সিএসকের প্রধান কোচ ভারতীয় দলের হেডস্যার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিং ধোনির থেকেই ফ্লেমিংয়ের খুঁটিনাটি জেনে নিতে পারবে বোর্ড। যদিও টি২০ বিশ্বকাপের মধ্যেই কোচ নির্বাচন পদ্ধতিতে চলায় রাহুল দ্রাবিড়ের ফোকাস নষ্ট হবে না তো, এই প্রশ্নই তুলছেন অনেকে।
একুশে সংবাদ/হি টা/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :