ধর্ষণ মামলায় মুক্ত হয়ে মুখ খুললেন সন্দীপ লামিচানে

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি ফিরল নেপাল ক্রিকেটে। ধর্ষণে অভিযুক্ত সন্দীপ লামিচানেকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত করল নেপালের একটি হাইকোর্ট। বুধবার তারকা ক্রিকেটার তথা নেপাল ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সন্দীপ লামিচানেকে ধর্ষণের অভিযোগে আট বছরের কারাদণ্ড বাতিল করা হল। 

নেপাল ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক সন্দীপ লামিচানেকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত করা হয়েছে। ১৭ বছর বয়সি এক তরুণীর অভিযোগ করেছিলেন, কাঠমান্ডুর একটি হোটেলের ঘরে সন্দীপ তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। নেপালের একটি আদালত ধর্ষণের মামলায় ক্রিকেটার সন্দীপ লামিছনেকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

পাটান হাইকোর্টের দুই বিচারকের একটি প্যানেল জানুয়ারিতে কাঠমান্ডু জেলা আদালত কর্তৃক সন্দীপকে দেওয়া সাজা বাতিল করার রায় দেন। নির্যাতিতা বলেছিলেন যে তাঁকে ২১ অগস্ট, ২০২২-এ যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই নির্যাতিতার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন লামিছনেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগে কারাগারে সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় লামিছনেকে জরিমানা হিসেবে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছিল এবং ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এরপরে বুধবার কোর্টের রায়ে লামিচানেকে মুক্ত করা হয়। এরপর তার ভক্তরা এই রায়ের সেলিব্রেশন করতে থাকেন এবং আদালতের বাইরে জড়ো হন। তবে তাদেরকে আদালতের কাছে আসতে বাধা দেয় পুলিশ। লেগ স্পিনার লামিছনে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল), পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এবং সিপিএল সহ বিশ্বের অন্যান্য বড় টি-টোয়েন্টি লিগে খুব জনপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন। সন্দীপ লামিছানে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট নেওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম স্পিন বোলার এবং টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট নেওয়া বিশ্বের তৃতীয় দ্রুততম স্পিন বোলার। গত বছরের অগস্টে কেনিয়ার বিরুদ্ধে নেপালের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন সন্দীপ লামিছনে।

সন্দীপ লামিচানের মুক্তির ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নেপালের দলে তার সম্ভাব্য অন্তর্ভুক্তির পথ পরিষ্কার হয়েছে। যদিও প্রাথমিক স্কোয়াড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা ঘোষণা করা হয়েছিল, মে মাসে রোহিত পাউডেলের নেতৃত্বে একটি যুব রোস্টারের নেতৃত্বে, ২৫ মে পর্যন্ত এখনও সামঞ্জস্য করা যেতে পারে। এবার লামিছনেকে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে দলে জায়গা পাকা করতে হবে।

বেকসুর খালাসের পর সন্দীপ লামিচানে বলেন, ‘দেড় বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে; প্রথম দিন থেকেই আমি নিজেকে বোঝাচ্ছিলাম যে আমি কোনও ভুল করিনি। আমাকে এমন মামলায় ফাঁসানো হয়েছে যেখানে আমি কোনও ভুল করিনি। অবশেষে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ নেপাল (সিএএন) পাটান হাইকোর্টের রায় অনুসারে নেপালের লেগ-স্পিনার লামিছানেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, যা লামিছনেকে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস করেছে। একটি প্রেস বিবৃতিতে, আদালতের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লামিচানেকে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

একুশে সংবাদ/হি টা/এস কে