বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের গত তিন আসরে বিদেশী কোচের উপর আস্থা রেখেছিল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। এবার দেশী কোচদের উপর আস্থা রেখেছে ফেডারেশনটি। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে চান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত কোচ আবদুল জলিল।
তিনি বলেন, গেল তিনটি আসরে বিদেশী কোচের মাধ্যমে আমরা হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। চতুর্থ আসরে দেশী কোচদের উপর দায়িত্ব দেওয়ায় দলকে চ্যাম্পিয়ন করানো আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। কোচ জলিল বলেন, এবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো শক্তিশালী দল আসছে। কেনিয়াও বেশ শক্তিশালী। অন্যসব দলগুলো কমবেশি ব্যালেন্সড ও শক্ত প্রতিপক্ষ। কাউকে দুর্বল ভাবার অবকাশ নেই। তবে আমরা টেকনিক্যাল দিক থেকে অনেক এগিয়ে। আমরা শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।
কোচ আবদুল জলিল বলেন, আসন্ন এ টুর্নামেন্ট সামনে রেখে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে দল প্রশিক্ষণে রয়েছে। যদিও সবশেষ জাতীয় দলে খেলা কয়েক জন অবশ্য ইনজুরি ও ফর্মে না থাকায় দলে আসতে পারেননি। তবুও অভিজ্ঞ আর উদীয়মানদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে আমরা আশাবাদী। বর্তমানে জাতীয় কাবাডি স্টেডিয়ামে প্রতিদিন সকাল-বিকেল দু’ বেলা কঠোর অনুশীলনে খেলোয়াড়রা শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার প্রত্যয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, লম্বা সময় ধরে দলের প্রস্তুতি চললেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। এ নিয়ে তিনি অবশ্য চিন্তিত নন। সাবেক এ তারকা খেলোয়াড় বলেন, আমরা হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন দল। সেই সাফল্যে উজ্জীবিত দলের সবাই আরেকটি শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন। এ মুহূর্তে আমরা শেষ মুহূর্তের ভুল-ক্রটিগুলো শুধরানোর চেষ্টা করছি। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের দুর্বল ও সবল দিকগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কোন কৌশলে দল খেলবে এ নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।
উল্লেখ্য প্রথম আসরে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখায়। এরপর ২০২২ সালেও সেই কেনিয়াকে ফাইনালে পরাজিত করে স্বাগতিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। তারপর ২০২৩ সালে অবশ্য চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। এবার লাল-সবুজ পতাকাধারীদের চোখ চতুর্থ শিরোপা জয়ের দিকে। সে লক্ষ্যেই তাদের প্রস্তুতি জোরেশোরে এগিয়ে চলছে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :