ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে অল্প রানে গুটিয়ে দেয় কলকাতা। আর জবাব দিতে নেমে জ্বলে ওঠেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ার। দুই আইয়ারের ফিফটিতে কলকাতা কোয়ালিফাই করল ফাইনালে। আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতার জয় আট উইকেটে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে হায়দরাবাদ। এ রান ৩৮ বল হাতে রেখেই তাড়া করে ফেলে কলকাতা।
কলকাতার হয়ে ধুঁকতে থাকা মিচেল স্টার্ক নিজের দ্বিতীয় বলেই সাফল্য পান। ট্রাভিস হেডকে হারিয়ে শুরুটা হয় হায়দরাবাদের। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অভিষেক শর্মাও। স্রেফ ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে তিনে নেমে লড়ে যান রাহুল ত্রিপাঠি। ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে খেলায় ফেরান।
একাদশ ওভারে ক্লাসেনকে ফিরিয়ে ৬২ রানের জুটি ভেঙে দেন বরুণ চক্রবর্তী। ২১ বলে ৩২ রান করে বিদায় নেন প্রোটিয়া ব্যাটার। তবে অপর প্রান্তে ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন ত্রিপাঠি। যদিও আর ৫ রান যোগ করেই বিদায় নিতে হয় তাকে। ৩৫ বলে তার ইনিংসটি সাত চার ও এক ছক্কায় সাজানো ছিল।
ত্রিপাঠির বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হায়দরাবাদ। তবে লড়েন কেবল প্যাট কামিন্স। ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংসে দলের সংগ্রহ তিনি দেড়শ পার করেন। কলকাতার হয়ে দারুণ বোলিং করেন স্টার্ক। চার ওভারে ৩৪ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট। দুটি উইকেট পান বরুণ। বাকি বোলাররা নেন একটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো করেন কলকাতার দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সুনীল নারিন। চতুর্থ ওভারে তাদের ২০ বলে ৪৪ রানের জুটি ভেঙে দেন নাটারাজান। গুরবাজ বিদায় নেন ১৪ বলে ২৩ করে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নারিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ৪৪ বলে ৯৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনেই পান ফিফটির দেখা। ২৮ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ভেঙ্কাটেশ অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। আর ২৩ বলে ফিফটি ছুঁয়ে শ্রেয়াস অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে।
এই ম্যাচে হারলেও আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়নি হায়দারাবাদের। বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যকার জয়ী দলের প্রতিপক্ষ হিসেবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে তারা। সেখান থেকে জয়ী দল ফাইনালে মোকাবিলা করবে কলকাতাকে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :