ময়মনসিংহে রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় ১০ হাজার দর্শক প্রাণভরেই উপভোগ করেছেন ফাইনাল। যেখানে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের ট্রেবল জয় করেছে বসুন্ধরা কিংস।
২২ মে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে ট্রেবল জয়ের গৌরব অর্জন করলো বসুন্ধরা কিংস। ফেডারেশন কাপের আগে স্বাধীনতা কাপ ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাও জিতেছে কিংস। এর আগে ২০১৩ সালে শেখ রাসেল ও তারও আগে ২০০২ সালে মোহামেডান এই কীর্তি গড়েছিল।
এদিন গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ইমানুয়েল সানডের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে মিগুয়েলের দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে কিংস। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৫ মিনিটে জাহিদ হাসান গোল করে কিংসের শিরোপা নিশ্চিত করেন।
এদিন তুলনামূলক বেশি আক্রমণ করে মোহামেডানই। গোলের সুযোগও তারাই বেশী পেয়েছে। তবে সুযোগ পেয়ে নষ্ট করেছে কিংস। ৬৩ মিনিটে সানডের গোলে লিড পায় মোহামেডান। সেই গোলের পর জয়ের সম্ভাবনা ঝুঁকে ছিল সাদা-কালো শিবিরের দিকেই। কিন্তু ৮৫ মিনিটে মোহামেডানকে মোক্ষম আঘাতটা করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মিগুয়েল দামাসিনো।
১-১ গোলের সমতা নিয়ে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। বিরতির পর খেলা গড়ালে ১০৫ মিনিটে কর্নার পায় কিংস। কর্নার থেকে আসা বল মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজনের হাত ফসকে গেলে জাহিদ জালে পাঠান। গোলের উল্লাসে মাতে কিংসের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। কিন্তু এই গোল মেনে নেয়নি মোহামেডান। তাদের দাবি গোলের আগে গোলরক্ষক সুজনকে বাধা দিয়েছে কিংসের খেলোয়াড়। প্রতিবাদ জানাতে থাকে তারা। কিন্তু রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
এ সময় মাঠে উত্তেজনা ছড়ায়। মারমুখী হয়ে ওঠেন সাদা কালো জার্সিধারীরা। এ সময় রেফারির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। এ সময় কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। পরে খেলা মাঠে গড়ালে শেষ বাঁশির সঙ্গেই ট্রেবল জয়ের আনন্দে মাতে কিংসের খেলোয়াড়া।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :