দুর্নীতি ও অনিয়মেরে অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীসহ বাফুফের ৫ কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। সেই সঙ্গে তিন কর্মকর্তাকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ৩ বছর ও সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসাইন ও অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সিনিয়র সহ সভাপতি মুর্শেদীকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ও নিষিদ্ধের পাশাপাশি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে প্রায় ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধের পাশাপাশি দশ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা করা হয়েছে। সোহাগ কাণ্ডের পর ফুটবল ফেডারেশন তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল দুই জনকেই। বাফুফের তদন্ত কমিটিও তাদের দায় খুঁজে পেয়েছিল। এবার নিষেধাজ্ঞা এলো ফিফা থেকে।
এদিকে, বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান। আর্থিক অসঙ্গতি ও ফিফার কমপ্ল্যায়ন্স সঠিকভাবে ফেডারেশন পূরণ করতে না পারায় সালাম মুর্শেদীকেও দশ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা করা হয়েছে। সালামের পাশাপাশি বাফুফের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার ইমরুল হাসান শরীফকেও সাধারণ দায়িত্বের আওতায় ফিফা নির্দেশিত কমপ্ল্যায়ন্স পূরণ না করায় সতর্ক করা হয়েছে।
ফিফার এথিকস কমিটির এডজুকেটরি চেম্বার সবার সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়েই এই সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। আবু নাঈম সোহাগ, আবু হোসেন, মিজানুর রহমানের ওপর সাধারণ দায়িত্ব, আনুগত্য ও মিথ্যাচারের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আবু নাঈম সোহাগ। আজকের বিজ্ঞপ্তিতে তাকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এটা এক বছরের বৃদ্ধি না পুনরায় তিন বছর– এ নিয়ে খানিকটা সংশয় রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :