যে কোনও ক্রিকেট ম্যাচ শুরুর আগে সব দল তাদের প্লেয়িং একাদশ ঘোষণা করে। নামিবিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্লেয়িং একাদশ ঘোষণা করে। ভুল করে নয়, আসলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে ছিলেন মোট ৯ জন ক্রিকেটার। বাকিরা আইপিএলে ব্যস্ত ছিলেন বলে এখনও দলের সঙ্গে বিশ্বকাপের জন্য যোগ দিতে পারেননি।
অগত্যা নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ১১ জন ক্রিকেটারের কোটা পূর্ণ করার জন্য বিরল পদক্ষেপ নিতে হয়। তারা মাঠে নামায় কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও নির্বাচকপ্রধান জর্জ বেইলিকে। এমনকি পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং কোচ আন্দ্রে ও ব্যাটিং কোচ ব্র্যাড হজ।
যদিও তার পরেও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জিততে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। নামিবিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে যে ১১ জন ক্রিকেটারের প্রয়োজন নেই অস্ট্রেলিয়ার, সেটা প্রমাণ হয়ে যায় এই অনুশীলন ম্যাচেই।
পোর্ট অফ স্পেনে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নামিবিয়া। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১১৯ রান তোলে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নামিবিয়া একসময় ১২তম ওভারে ৫০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা ১৫ ওভারে তোলে ৭ উইকেটে ৭৫ রান। এর পরেও নামিবিয়াকে অল-আউট করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৮ রান করেন উইকেটকিপার জেন গ্রিন। তিনি ৩০ বলের ইনিংসে ৫টি চার মারেন। ১১ বলে ১৮ রান করে রান-আউট হন মালান ক্রুগার। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১২ রান করে রান-আউট হন ডেভিড ওয়াইজ। ১৭ বলে ১৫ রান করেন ক্যাপ্টেন জেরার্ড এরাসমাস। তিনি ২টি চার মারেন। এছাড়া নিকোলাস ডেভিন ১৪ ও জেপি কটজি ১৩ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। ৪ ওভারে ৩টি মেডেন-সহ মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন জোশ হেজেলউড। ১টি করে উইকেট নেন ন্যাথন এলিস ও টিম ডেভিড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১২৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৬০ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৪ বলে ১৮ রান করেন মিচেল মার্শ। তিনি ৪টি চার মারেন। ১৬ বলে ২৩ রান করেন টিম ডেভিড। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :