চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তাদের একের পর এক আক্রমণের তোড়ে ভেসে যাওয়ার অবস্থা মাদ্রিদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন রূপে হাজির আনচেলত্তির দল। ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পুনরুদ্ধার করল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় করল লস ব্লাঙ্কোসরা।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অবশ্য শুরুটা দূর্দান্ত করেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। একের পর আক্রমণে রিয়ালকে চাপে রাখে এডিন টেরজিকের দল। তবে দ্বিতীয়ার্দে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজারা।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে রিয়ালকে বিপদে ফেলতে পারত ডর্টমুন্ড। কিন্তু জুলিয়ান ব্র্যান্ড প্রতিপক্ষের রক্ষণে ফাঁকায় বল পেলেও তা শট নিতে দেরি করেন। রিয়ালের এক ডিফেন্ডার বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় বেশ বাইরে দিয়ে।
এরপর মধ্যমাঠের বলের দখল নেয়ার চেষ্টায় থাকে রিয়াল। সুযোগের খোঁজে থাকে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ২১তম মিনিটে অবশ্য আরেকবার সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু এবার থিবো কোর্তোয়াকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেনি করিম আদেয়েমি।
দুই মিনিট পর আবারো রক্ষা পায় রিয়াল। এবার তাদের বাঁচিয়েছে গোলপোস্ট। কামাভিঙ্গার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দারুণ পাস বাড়ান ম্যাটসেন।
সেই বল অফসাইড ফাঁদ ভেঙে পেয়ে যান নিকলাস ফুলক্রুগ, আগোয়ান গোলরক্ষকও ফাঁকিও দেন তবে তার শট সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। তাতে হতাশা বাড়ে ডর্টমুন্ড শিবিরে।
বিরতি থেকে ফিরেই ডর্টমুন্ডের রক্ষণ কাঁপায় রিয়াল। ফ্রিকিকে টনি ক্রুসের প্রচেষ্টা অবশ্য ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিতে থাকে রিয়াল। দশ মিনিটের ব্যবধানে ডর্টমুন্ডের স্বপ্ন ভেঙে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা।
ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে টনি ক্রুসের কর্নারের দূরের পোস্টে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নিয়ে রিয়াল সমর্থকদের স্বস্তি এনে দেন কার্ভাহাল। আর ৮৩ তমমিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে রিয়ালকে শিরোপার আনন্দে ভাসান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
এই প্রতিযোগিতায় সাফল্যের বিচারে রিয়াল মাদ্রিদ চলে গেল ধরাছোঁয়ার বাইরে। সবশেষ ১০ বছরে ছয়বার ফাইনাল খেলে সবক’টি ফাইনালই জিতল রিয়াল। আর সবমিলিয়ে এটি ১৫তম শিরোপা। তাদের পেছনে থাকা এসি মিলান জিতেছে সাতবার। তাদের থেকেও দ্বিগুনের বেশি শিরোপা রিয়ালের।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :