জয়ের ‘খুব কাছে আবার অনেক দূরে’- এমন বিষয় ছিল। কারন বাংলাদেশ এমন একটি লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা যেকোন দিন যেকোন উইকেটে স্পর্শ করা সম্ভব। প্রথমে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে ১১৩ রানের মধ্যে আটকে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। জবাব দিতে নেমে ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৪ রান তুলে জয়ের সেরা সুযোগ তৈরি করে টাইগাররা। ক্রিজে দুই সেট ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ থাকায় ২০০৭ সালের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আবারও সুপার এইটে খেলার পথ সহজ করার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ।
তবে নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। হৃদয়কে আউট করার মধ্যে দিয়ে জয়ের পথ খুঁজে পায় প্রোটিয়ারা। পেসার কাগিসো রাবাদার বলে লেগ বিফোর আউট হন হৃদয়। এরপর ওটনিল বার্টম্যান এবং কেশব মহারাজের দুর্দান্ত দুই ওভারে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল, প্রায় জিতেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ কয়েক ওভারে তারা ভালো বোলিং করেছে। এটা ক্রিকেটে হতেই পারে।’
গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। টান-টান উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারে ১১ রানের দরকারে স্পিনার কেশব মহারাজের বোলিং নৈপুন্যের সামনে সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। তারপরও সতীর্থদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন শান্ত, ‘সবাই নার্ভাস ছিল। কিন্তু জাকের থাকায় আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু যখন হলোনা তখন আর করার কি আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিই শেষ কয়েক ম্যাচে কঠোর পরিশ্রম করেছে তানজিদ। আমাদের নতুন বলে উইকেট দরকার ছিল এবং সে তার সামর্থ্য দেখিয়েছে। রিশাদ খুব ভালো ছিলো। গত দুই ম্যাচেও অনুশীলনে ভালো বোলিং করেছে সে।’
গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আইডেন মার্করাম বলেন, ‘এমন খেলায় ফাইনাল ওভারে আপনি সবসময় বেশ নার্ভাস থাকবেন। কখনও কখনও আপনি সুবিধা পাবেন, আবার কখনও কখনও না। তবে ম্যাচটি খুব উত্তেজনাপূর্ণ ছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯ দশমিক ৫ ওভারের বলটি যে কোনো জায়গায় যেতে পারতো, আরও দুই মিটার যেতে পারতো। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, আপনি ম্যাচটি কতদূর নিতে চান। পেসাররা ভালো বোলিং করেছিল, শেষ ওভারে যে কোন কিছু হতে পারে। ক্লাসেন এবং মিলার বেশ চাপে ছিল, কিন্তু তারা দারুন করছে। ক্লাসেনের ফর্মে ফিরে আসাটা দারুণ।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :