চলতি টি২০ বিশ্বকাপে বোলারদের রমরমা তুঙ্গে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোক বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তেমন বড় রান খুব বেশি উঠতে দেখা যায়নি। তুলনায় কম রানেই আউট হতে দেখা গেছে অধিকাংশ দলকে। ১২০-১৩০ রানের টার্গেট দিয়েও ম্যাচ জিতে নিয়েছে বহু দল, সৌজন্য তাদের বোলিং। অবশ্য এক্ষেত্রে শুধু বোলারদের কৃতিত্ব দিলে হবে না কারণ পিচ দেখা গেছে বোলিং সহায়ক। কখনও স্লো তো আবার কখনও ডবল পেসড।
এবারের বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই কম রানের ইনিংসের রেকর্ড হয়ে গেছে। এবারই টি২০ বিশ্বকাপে প্রথমবার দেখা গেল, তিনবার বিভিন্ন দল ৫০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারল না। এর আগে টি২০ বিশ্বকাপে যা কখনই দেখা যায়নি।
এবারের মতো টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেছে উগান্ডা ক্রিকেট দল। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেলেও বাকি তিন বড় দলের কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে তাদের। দুটি দলের বিপক্ষে ৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি তারা। একটি দলের বিরুদ্ধে কোনও রকমে ৫৮ রান করে উগান্ডা। তারা এবারের এমন এক দল, যারা চারটি ম্যাচের একটিতেও ১০০ রান করতে উঠতে পারেনি। এবারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড বনাম উগান্ডা ম্যাচের পর নতুন এক রেকর্ড তৈরি হল, যা এর আগে কখনও টি২০ বিশ্বকাপে হয়নি।
এই প্রথম কোনও টি২০ বিশ্বকাপের আসরে তিনবার ৫০ রানের কমে অল আউট হল দলগুলি। এর মধ্যে দুবার ৫০ রানের কমে অল আউট হল উগান্ডা। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা মাত্র ৩৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছিল। একবার ৫০ রানের নিচে আউট হয় ওমান। তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচে মাত্র ৪৭ রানেই অল আউট হয়ে যায়। প্রসঙ্গত দুই দলই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে। উগান্ডা অন্তত পয়েন্টের খাতা খুললেও ওমান ব্যর্থ হয়েছে সেই কাজেও।
এবারের টি২০ বিশ্বকাপে ২০০ রানের গণ্ডি টপকেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে তারা ২০১ রান করেছিল। বাকি দলগুলি আর কেউই ২০০-র গণ্ডি টপকাতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজেও বোলাররাই বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে পিচ থেকে। ভারতীয় দলসহ বেশ কয়েকটি দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেললেও তাদের পরের রাউন্ডের ম্যাচ হবে ক্যারিবিয়ানের ডেরায়। তাই দ্রুত সেখানকার উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে মরিয়া রয়েছে রোহিত শর্মা ব্রিগেড। কারণ নাসাউ কাউন্টির মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটে অতটা বাউন্স না থাকলেও উইকেটের রয়েছে বেশ টার্ন, যার জন্য স্পিনাররাও দুরন্ত ছন্দে রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :