ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ১২৯ লক্ষ্য মামুলিই। মাঠেও এর ছাপ মিললো। সেমিফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে হেসেখেলেই এই টার্গেট ছুঁয়ে ফেলেছে ক্যারিবিয়ানরা। শাই হোপের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৫৫ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে রোভম্যান পাওয়েলের দল।
শনিবার (২২ জুন) বার্বাডোজে যুক্তরাষ্ট্রকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজদের প্রথম ম্যাচে হারের পরেও গ্রুপ `২` এর টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে ক্যারিবীয়রা। নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে মিলতে পারে সুপার এইটের টিকিট। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের দিকেও চোখ রাখতে হতে পারে রভম্যান পাওয়েলের দলকে।
অন্যদিকে, স্বপ্নের মতো বিশ্বকাপ শুরু করা যুক্তরাষ্ট্রের সেমিতে যাওয়ার আশা প্রায় শেষ। সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচেই বাজেভাবে হেরে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে আরন জোনসের দল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। দলীয় ৩ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ারপ্লে থেকে ৪৮ রান আসে দলটির। দ্বিতীয় উইকেটে নিতিশ কুমার এবং অ্যান্ড্রিস গাউস গড়েন ৪৮ রানের জুটি। নিতিশকে এলবিডব্লিউ করে সেই জুটি ভাঙেন গুদাকেশ মোটি। ১৯ বলে ২০ রান করেন নিতিশ। পরের ওভারে ফেরেন গাউসও। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২৯ রান করেন গাউস।
এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর আর দাঁড়াতে পারেননি কেউই। মিডল ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চালকের আসনে বসান রস্টন চেজ। লোয়ার অর্ডার এবং টেইলেন্ডারদের একদমই হাত খুলতে দেননি আন্দ্রে রাসেল এবং আলজারি জোসেফ। শেষদিকে আলি খানের ৬ বলে ১৪ রানের ক্যামিওতে কোনোরকমে ১২০ রান পার করে যুক্তরাষ্ট্র।
৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন চেজ। ৩ উইকেট নিয়েছেন রাসেলও। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোসেফ। একটি উইকেট গেছে মোটির ঝুলিতে। লক্ষ্যতাড়া করতে মাঠে নেমে যুক্তরাষ্ট্রকে ছয়ের বন্যায় ভাসিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩০ রানের মধ্যে ছক্কা দিয়েই ৬৬ রান করেছে ক্যারিবীয়রা। শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ওপর চড়াও হন উইন্ডিজ ব্যাটাররা। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান করেন শাই হোপ এবং জনসন চার্লস।
পাওয়ারপ্লের পর সপ্তম ওভারে আউট হন চার্লস। তবে এরপরই শুরু হয় মূল টর্নেডো। শেষ ৬৩ রান করতে কেবল ২৩ বল খেলেছেন এই দুই ব্যাটার। যার বেশিরভাগ রানই এসেছে ছক্কা থেকে। ৮ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৯ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন হোপ। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১২ বলে ২৭ রান করেন পুরান।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :