দুই বদলী খেলোয়াড় জনডার কাডিচ ও এডুয়ার্ড বেলোর গোলে ১০ জনের ইকুয়েডরকে কোপা আমেরিকার গ্রুপ -বি’র প্রথম ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে ভেনেজুয়েলা। এদিকে গ্রুপের আরেক ম্যাচে হিউস্টনে জ্যামাইকাকে ১-০ গোলে পরাজিত করে আসরে শুভ সূচনা করেছে মেক্সিকো। যদিও ইনজুরির কারনে অধিনায়ক এডসন আলভারেজকে ম্যাচের ৩০ মিনিটেই হারাতে হয়েছে মেক্সিকোকে।
লেভাই স্টেডিয়ামে স্ট্রাইকার এনার ভ্যালেন্সিয়া বিপদজনক ভাবে খেলার অপরাধে ২২ মিনিটে লাল কার্ড পেলে তখন থেকেই ইকুয়েডরকে ১০ জন নিয়ে প্রতিরোধ গড়তে হয়েছে। ৩৪ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার হোসে মার্টিনেজকে একটি হাই চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে বুট দিয়ে বুকে আঘাত করেন। প্রাথমিক ভাবে তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হলেও ভিএআর রিভিউ সরাসরি লাল কার্ডের নির্দেশ দেয়।
এই কার্ডের আগে ইকুয়েডরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের কাছে রেখেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ভেনেজুয়েলা বক্সের ভিতর একটি ফ্রি-কিক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ৪০ মিনিটে জেরেমি সারমিয়েটো ইকুয়েডরকে এগিয়ে দেন।
বিরতির পর ভেনেজুয়েলা কোচ ফার্নান্দো বাতিস্তা দুটি পরিবর্তও করে একসাথে কাডিচ ও বেলোকে মাঠে নামান। আর এতেই ম্যাচের ভাগ্য ঘুড়ে যায়। ৬৪ মিনিটে স্ট্রাইকার সালোমোন রনডন কাডিজের দিকে বল বাড়িয়ে দেন। বক্সের ভিতরে লো সাইড ফুট শটে ইকুয়েডর গোলরক্ষক আলেক্সান্দার ডোমিনগুয়েজকে পরাস্ত করতে কোন ভুল করেননি কাডিজ। ১০ মিনিট পর ডানদিক থেকে আলেক্সান্দান গঞ্জালেজের ক্রসে রনডনের ডাইভিং হেড রুখে দেন ডোমিনগুয়েজ। ফিরতি বল সহজেই জালে জড়ান বেলো।
ইকুয়েডরের স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজ বলেছেন ভ্যালেন্সিয়ার লাল কার্ডই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এ সময় ফেলিক্স বলেন, ‘লাল কার্ডের পর আমরা পরিকল্পনা পাল্টাতে বাধ্য হই। এ সময় প্রতিপক্ষের থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়ি। ১০ জন নিয়ে খেলতে গেলে প্রতিপক্ষকে যে কোন ধরনের ছাড় দিবে না তা সহজেই অনুমেয়। অবশ্যই এভাবে আমরা শুরু করতে চাইনি। কিন্তু এখনো গ্রুপের আরো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আমাদের আরো ভালভাবে ফিরে আসতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে হবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :