ইউরোতে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি ইংল্যান্ড। আর সে কারনে স্বাভাবিক ভাবেই কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। যদিও অধিানয়ক হ্যারি কেন তার কোচের পক্ষেই আছেন। কেনের মতে ইংল্যান্ড ভাল না করলেও এই মুহূর্তে সাউথগেটই ইংলিশদের জন্য কোচ হিসেবে সঠিক ব্যক্তি।
ইউরো চ্যাম্পিয়শীপে প্রথম দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট তুলে নিয়ে নক আউট পর্বের পথে ভালভাবেই টিকে রয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। আগামীকাল গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ স্লোভেনিয়া। যদিও প্রাক-টুর্নামেন্ট থেকেই দলের আক্রমনভাগের নেতৃত্বে থাকা চার তারকা কেন, জুড বেলিংহাম, ফিল ফোডেন ও বুকায়ো সাকা এখনো নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ডেনমার্কের বিপক্ষে সাউথগেটের দল ১-১ গোলে ড্র করে হতাশ করেছিল। এর আগে সার্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে তারা আসর শুরু করে।
সাউথগেটের অধীনে ইংল্যান্ড গত তিনটি বড় টুর্নামেন্টে ফাইনাল, সেমি ফাইনাল ও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু চলমান ইউরোর পর ৫৩ বছর বয়সী সাউথগেট নিজেই তার ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেছেন। জার্মান সাময়িকি বিল্ডে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি ইউরো শুরুর আগে বলেছিলেন ইংল্যান্ড যদি ৫৮ বছরের মধ্যে প্রথম বড় শিরোপা জিততে এবারও ব্যর্থ হয় তবে হয়তো তিনি তার দায়িত্ব ছেড়ে দিবেন।
ইংলিশ অধিনায়ক কেন বলেন, ‘আমি গ্যারেথ সম্পর্কে আগে কখনো কিছু বলিনি। জাতীয় দল ও দেশের জন্য সে কি করেছে তা সবাই জানে। আমরা কোথায় ছিলাম এবং জাতীয় দল হিসেবে আমরা এই মুহূর্তে কোথায় আছি তা সম্পূর্ন ভিন্ন। তাকে নিয়ে একটি পক্ষ সবসময়ই সমালোচনা করেছে, তার উপর সন্দেহ করেছে। রেকর্ড কথা বলবে, আমাদের এই দলটিকে নিয়ে সে সবসময়ই সফল ছিল। কিন্তু সবার মতই সেও পরবর্তী ধাপে যাবার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউরো জেতার লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা সবাই দারুন দৃঢ়তার সাথেই একতাবদ্ধ আছি।’
আগের ইউরো ও বিশ্বকাপে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রুপ পর্ব পার করার ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে ইংলিশদের। কেন বিশ্বাস করেন টুর্নামেন্টের শুরুতে এ ধরনের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। একই সাথে গ্রুপ পর্ব শেষে ধীরে ধীরে উপরে ওঠাও গুরুত্বপূর্ণ।
বায়ার্ন মিউনিখের এই তারকা বলেন, ‘ইউরোতে জেতার ব্যপারে আমাদের নিজেদের ওপর অগাধ বিশ্বাস আছে। প্রথম দুই ম্যাচে ৩-০, ৩-০ ব্যবধানে জয়ের পর সবাই বলবে এই টুর্ণামেন্ট আমাদেরই জেতা উচিত। কিন্তু তার পরিবর্তে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলে সকলের প্রত্যাশার চাপটাও কম থাকে। শুরুতে কিছুটা কঠিন সময় কাটানোর মধ্যে আমি কোন ভুল দেখিনা। বরং এর মাধ্যমে মানসিক ভাবে আরো কিছুটা এগিয়ে নেবার তাগিদ থাকে।’
ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচ শেষের ২০ মিনিট আগে কেন, সাকা ও ফোডেনকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন সাউথগেট। এ পর্যন্ত টুর্ণামেন্টে ইংল্যান্ডের আগ্রাসনের অভাবের পিছনে খেলোয়াড়দের ফিটনেস সমস্যাকে দায়ী করেছেন সাউথগেট। পিঠের ইনজুরির কারনে বায়ার্নের বুন্দেসলিগা মৌসুমের শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি কেন। কিন্তু নিজের ফিটনেস নিয়ে কোন শঙ্কা প্রকাশ করেননি কেন, ‘আমি মনে করি পুরো মৌসুমে আমি যেভাবে খেলেছি তেমন ভাবেই ইউরোতে শুরুটা করেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমি বদলী বেঞ্চে চলে এসেছিলাম। কোচ হয়তো ভিন্ন কিছু দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু এখানে ফিটনেসের কোন সমস্যা নেই।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :