বাংলাদেশের লেগ স্পিনারদের অতীত এমন যে, তাদের ওপর বোর্ড ও মানুষ আস্থা রাখতেই ভয় পায়। বিশ্বকাপ দলে রিশাদ হোসেনকে দেখে কারো কারো হয়তো তেমন অনুভূতিই হয়েছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করেছেন ২১ বছর বয়সী লেগি। বাংলাদেশের পক্ষে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তো হয়েছেনই, জায়গা করে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশেও।
চারিথ আসালাঙ্কাকে দিয়ে শুরু। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এরপর আরও ১৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তিনি ছয়ে। তার পুরস্কার পেলেন আসরের সেরা একাদশে জায়গা পেয়ে। এই দলের নেতৃত্বভার আফগানিস্তানের রশিদ খানের কাঁধে। প্রথমবার দলকে সেমিফাইনালে তুলেছেন তিনি।
বাঘা বাঘা ব্যাটারদের শিকার করেছেন রিশাদ। ডেভিড মিলার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, রিশভ পন্ত, শিভম দুবে, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের মতো ব্যাটারদের উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এরা প্রত্যেকে মারকাটারি ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত।
এবারের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় জাসপ্রিত বুমরাহ। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি না হলেও তিনি এত প্রভাব রেখেছেন যে, কর্তৃপক্ষ তাকে এড়িয়ে যেতে পারেনি। অবধারিতভাবেই দলে জায়গা করে নিয়েছেন এ পেসার।
সেরা একাদশে অলরাউন্ডার দুজন, হার্দিক পান্ডিয়া ও মার্কাস স্টোইনিস। হার্দিক ফাইনালে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন হেইনরিখ ক্লাসেনের উইকেট নিয়ে। বিধ্বস্ত আইপিএল শেষে বিশ্বকাপজুড়েই ছন্দে ছিলেন তিনি। ১১ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছেন ১৪৪ রান।
ব্যাটার হিসেবে সেরা একাদশে রয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার ও ত্রিস্টান স্টাবস। ২৮১ রান নিয়ে গুরবাজ এবারের আসরের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। জায়গা হয়নি ফাইনালের সেরা বিরাট কোহলি ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক রোহিত শর্মার।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :