উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে ৩ ঘণ্টা ৫১ মিনিটের লড়াই লড়তে হল কার্লোস আলকারাজকে। পাঁচ সেটের লড়াইয়ে (৫-৭, ৬-২, ৪-৬, ৭-৬, ৬-২) ফ্রান্সেস টিয়াফোকে হারিয়ে প্রতিযোগিতার চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন গত বারের বিজয়ী।
সেন্টার কোর্টে প্রতিটি গেমের জন্য লড়াই হল দুই প্রতিযোগীর। গ্রাউন্ড স্ট্রোক, ভলি, ড্রপ শট, নেট গেম সবই দেখা গেল। টান টান ম্যাচে এক বার টিয়াফো এগোলেন তো পরের সেটেই বাজিমাত করলেন আলকারাজ। শেষ পর্যন্ত পুরুষদের তৃতীয় বাছাইয়ের অভিজ্ঞতা কাজে দিল।
উইম্বলডনে শেষ ১০টি ম্যাচ জিতে এই ম্যাচে নেমেছিলেন আলকারাজ। কিন্তু টিয়াফোর বিরুদ্ধে প্রথম সেট হারেন তিনি। প্রথম ১০টি গেমে দু’জনই নিজের সার্ভিস ধরে রাখছিলেন। ১১তম গেমে আলকারাজের সার্ভিস ভাঙেন টিয়াফো। পরে নিজের সার্ভিস ধরে রেখে প্রথম সেট জিতে নেন তিনি।
দ্বিতীয় সেটে ম্যাচে ফেরেন আলকারাজ। টিয়াফোর সার্ভিস ভাঙেন তিনি। দ্বিতীয় সেটে আলকারাজ প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি। তাঁর পরিচিত ড্রপ শট খেলেন। পাশাপাশি পাওয়ার শটও দেখা যায়। দ্বিতীয় সেট জেতেন আলকারাজ।
তৃতীয় সেট যায় টিয়াফোর দখলে। আবার তিনি আলকারাজ়ের সার্ভিস ভাঙেন। প্রতিটি গেমে লড়াই হচ্ছিল। তৃতীয় সেট জিতে অঘটনের ইঙ্গিত দেন টিয়াফো। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার কী ভাবে খেলায় ফেরেন, তা আরও এক বার দেখালেন আলকারাজ। চতুর্থ সেটে দু’জনেই নিজের সার্ভিস ধরে রাখেন। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে বাজিমাত করেন আলকারাজ।
পঞ্চম সেটে হয় খেলার ফয়সালা। সময় যত গড়াল তত আক্রমণাত্মক দেখাল আলকারাজকে। অন্য দিকে টিয়াফো কিছুটা হলেও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। ফলে পঞ্চম সেটে ভুল করলেন টিয়াফো। সেই ভুল কাজে লাগিয়ে পঞ্চম সেট দিতে ম্যাচ জিতে নেন আলকারাজ।
খেলা শেষে আলকারাজ বলেন, “টিয়াফো খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। ওর বিরুদ্ধে খেলা সহজ নয়। আমাকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতিটা পয়েন্টের জন্য লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত জিতেছি। এখন অনেকটা স্বস্তি হচ্ছে।”
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :