লাতিন আমেরিকা অঞ্চল বরাবরই ফুটবলশৈলীর জন্য বিখ্যাত। তবে এখানে কয়েকটি দল যেমন ছন্দময় ফুটবল খেলে, তেমনই কয়েকটি দলের খেলোয়াড়রা আবার মেরে খেলেন। বলা যায় শারিরীক আক্রমণ তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ছন্দময় ফুটবল খেলার তালিকায় এই অঞ্চলে সবার উপরে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। কিন্তু রোববার (৭ জুলাই) কোপা আমেরিকার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারের চিত্রটা ছিল একদম ভিন্ন।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি যারা দেখেছেন, তারা নিশ্চিতভাবে এই দুই দলকে মেরে খেলা দলগুলোর কাতারে ফেলতে পারেন। ম্যাচে না ছিল কোনো ছন্দ, না ছিল দেখার মতো কোনো পাস। দুই দলই একে অপরকে ফাউল করার নেশায় ছিল মত্ত। পুরো ম্যাচজুড়ে বাকবিতণ্ডার পাশাপাশি হাতাহাতি তো হয়েছেই, মূল ম্যাচে খেলোয়াড়রা ফাউলও করেছেন অনেক। ম্যাচে দুই দলের ফাউলের সংখ্যা মোট ৪১টি। যা এবারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ।
আজ উরুগুয়ে ফাউল করছে ২৬টি, ব্রাজিলের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ১৫। বিপরীতে দুই দলের ২ জন করে খেলোয়াড় হলুদ কার্ড পান। তবে ম্যাচে সবচেয়ে বড় ফাউলটা হয় ৭৪ মিনিটে।
এ সময় বল নিয়ে দৌড়াতে থাকা রদ্রিগোকে পেছন থেকে মারাত্মকভাবে ট্যাকেল করেন নাহিতান নান্দেজ। প্রথমে তাকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি। কিন্তু ভিএআর রিভিউয়ের পর লাল কার্ড দেখিয়ে নান্দেজকে মাঠছাড়া করেন তিনি।
এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। ১০ জনের দল হলেও ব্রাজিলকে বাকি ম্যাচে গোল করা থেকে বিরত রাখে উরুগুয়ে। ৯০ মিনিটেও ম্যাচের সূরাহা না হলে টাইব্রেকারে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৪-২ ব্যবধানে হারায় তারা। এ নিয়ে প্রায় এক যুগ পর কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠল উরুগুয়ে। ২০১১ সালে সবশেষ সেমিফাইনাল খেলা উরুগুয়ে সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :