টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ১৩ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু করেছে জিম্বাবুয়ে। এমন ঐতিহাসিক জয়ের পরও সিরিজের কথা মাথায় রেখে সাবধানতা অবলম্বন করতে চান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তার মতে, ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠবে ভারত। অন্যদিকে, সিরিজের বাকী ম্যাচ দিয়ে লড়াই ফেরার লক্ষ্য থাকলেও প্রথম ম্যাচে হারের জন্য ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুলেছেন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল।
গতকাল হারারেতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে জ¦লে উঠতে পারেনি জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৫ রানে আটকে যায় স্বাগতিকরা।
দলের পক্ষে ৪টি চারে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ক্লাইভ মাদান্দে। ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ভারতের সফল বোলার ছিলেন স্পিনার রবি বিষ্ণোই।
১১৬ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামলাতে হিমশিম খেয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। ৪৭ রানে ৬ উইকেট পতনে হারের মুখে ছিটকে পড়ে তারা। লোয়ার অর্ডারে ওয়াশিংটন সুন্দরের ২৭ ও আবেশ খানের ১৬ রানেও হার এড়াতে পারেনি ভারত। ইনিংসের ১ বল বাকী থাকতে ১০২ রানে গুটিয়ে লজ্জা হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে এক সপ্তাহ আগে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ জয়ী দলের খেলোয়াড়দের ছাড়াই সিরিজ শুরু করা টিম ইন্ডিয়া।
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে খুশি হলেও সিরিজের বাকী ম্যাচগুলোতে সাবধান থাকতে চান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক রাজা। ১৭ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়া রাজা বলেন, ‘এমন জয়ে অবশ্যই খুশি। কিন্তু কাজ এখনও শেষ হয়নি। সিরিজ বাকি আছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নেরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মতোই ঘুড়ে দাঁড়াবে। এজন্য আমাদের সাবধান থাকতে হবে।’
গত টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার কথা বললেন রাজা, ‘যত দিন আমরা মন দিয়ে ক্রিকেট খেলছি এবং দর্শকদের আনন্দ দিতে পারছি, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারছি, তত দিন আমি ফলাফল নিয়ে ভাবতে চাই না। দলের ছেলেদের পাশে আছি। আমরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। আমাদের বোলিং এবং ফিল্ডিং ভালো হয়েছে। এখনও কিছু ভুল আছে। তাই উন্নতির জায়গাও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন কোন উইকেট ছিল না, যেখানে কোন দল ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যাবে। দুই দলের বোলারদেরই কৃতিত্ব দিতে হবে। কিন্তু আমাদের দক্ষতা যে আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে, এই ফলাফল তারই প্রমাণ দিচ্ছে।’
১১৬ রানের সহজ টার্গেট পেয়েও, দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে সাজঘরে ফিরেন ভারতের ভবিষ্যত প্রজন্মের ব্যাটাররা। তাই ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুলতে দ্বিধা করেননি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করা গিল, ‘ইনিংসের মাঝপথেই ৫ উইকেট হারিয়েছি আমরা। দলের ব্যাটিং পারফরমেন্স দেখে আমি হতাশ। যদি ১১৫ রান করতে নেমে ১০ নম্বর ব্যাটারের উপর নির্ভর করতে হয় তা হলে বুঝতে হবে, কোথাও ভুল আছে। কেন হারলাম, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।’
ম্যাচ জয়ের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারেননি বলে জানান গিল, ‘আমরা ভাল বল করেছি। কিন্তু ব্যাটিং-ফিল্ডিং ভাল হয়নি। আমাদের কোন পরিকল্পনাই কাজে লাগেনি।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :