AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

স্পেনের সামনে শেষ চারের বাঁধা ফ্রান্স


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
০৫:২৭ পিএম, ৮ জুলাই, ২০২৪
স্পেনের সামনে শেষ চারের বাঁধা ফ্রান্স

বিশ্ব ফুটবলে নতুন প্রজন্মের সবচেয়ে সফল দুই দল ফ্রান্স ও স্পেন আগামীকাল ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিফাইনালে একে অপরের মোকাবেলা করবে। সেমিফাইনালে খেলার আগে দুই দলের দুই বিভাগ নিয়ে নিজেরা গর্ব করতেই পারে। আক্রমনভাগে যেখানে স্পেনকে এবারের আসরে অন্য কোন দলই টপকে যেতে পারেনি সেখানে ওপেন প্লেতে এখনো কোন গোল হজম না করা ফ্রান্সের জেদী রক্ষনভাগ সবাইকে বিস্মিত করেছে।

তরুণ দুই উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসের উপর ভর করে স্পেন জার্মানিতে শেষ চারের টিকেট পেয়েছে। বিপরীতে টুর্নামেন্ট ফেবারিট ফ্রান্স শুধুমাত্র কিলিয়ান এমবাপ্পের উপর আক্রমনে নির্ভর করে শক্তিশালী রক্ষনভাগ নিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। গত পাঁচ ম্যাচে ফ্রান্স শুধুমাত্র এক গোল হজম করেছে, তাও আবার পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে।

স্বাগতিক জার্মানির সাথে সমান ১১ গোল করে এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে করেছে স্পেন। জার্মানিকে কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তের গোলে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলতে এসেছে স্প্যানিশরা। এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয়ী হয়েছে লা রোজারা। ইউরোর ইতিহাসে পেনাল্টি ছাড়া কোন দলই পাঁচ এর বেশী ম্যাচে জিততে পারেনি। 

অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতার নেতৃত্বে স্পেনের দুই তরুণ উইঙ্গার ২১ বছর বয়সী উইলিয়ামস ও ১৬ বছর বয়সী ইয়ামালের গতি ও বৈচিত্র্যে প্রতিপক্ষ দলগুলো বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই উইলিয়ামস এক গোল ও একটি এ্যাসিস্ট করেছেন। ইয়ামাল এখনো পর্যন্ত জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি। এই টুর্নামেন্টে গোল করতে পারলে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গোলের রেকর্ড গড়বেন বার্সেলোনার এই তরুণ  তুর্কি। স্কোরবোর্ডে নাম না লেখালেও টুর্ণামেন্ট সর্বোচ্চ তিনটি এ্যাসিস্ট ঠিকই করে ফেলেছেন ইয়ামাল।

কোচ লুইস ডি লা ফুয়েন্তের ইতিবাচক মনোভাবই স্পেনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি তার দলের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। স্বাগতিক জার্মানিকে হারানোর পর ডি লা ফুয়েন্তে বলেছিলেন, ‘এই দলটিই আমার বাজির ঘোড়া এবং আমাদের দেশের রোল মডেল। আমরা অনেকদুর যাবো। এই দলের সকলের মধ্যে হৃদয় দিয়ে খেলার অভ্যাস আছে।’

স্পেনের জুনিয়র পর্যায়ে এই দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে আগেও কোচিং করিয়েছেন ডি লা ফুয়েন্তে। যে কারনে আগে থেকেই তাদের সাথে পরিচিতি ছিল।

যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে মূল দলে খেলা তিন খেলোয়াড়কে আগামীকাল পাচ্ছে না স্পেন। ডিফেন্ডার ডানি কারভাহাল ও রবিন লি নরমান্ড হলুদ কার্ডের কারনে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। অন্যদিকে পেড্রি হাঁটুর ইনজুরির কারনে ইউরো থেকে ছিটকে গেছেন।

কাতার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৬ গোল করা ফ্রান্স ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছে শুধুমাত্র শক্তিশালী রক্ষণভাগকে পুঁজি করে। জার্মানির মাটিতে ফরাসি স্ট্রাইকাররা মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। আগের ম্যাচগুলোতে মাত্র তিন গোল করে সেমিফাইনালের টিকেট পেয়েছে ফ্রান্স। এখনো কোন ফরাসি খেলোয়াড় ওপেন প্লেতে গোল করতে পারেনি। ফ্রান্সের থেকে কম গোল করার তালিকায় এবারের আসরে মাত্র সাতটি দল রয়েছে।

দুটি ম্যাচে তারা গোলশুন্য ড্র করেছে। দুটি ম্যাচে জিতেছে ১-০ ব্যবধানে, যে গোলগুলো আবার এসেছে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতি গোলের কল্যাণে। দিদিয়ের দেশ্যমের দল হজম করেছে মাত্র এক গোল। পোল্যান্ডের বিপক্ষে রবার্ট লিওয়ানদোস্কি পেনাল্টি স্পট থেকে এক গোল করেছিলেন। বাকি চার ম্যাচে ফ্রান্স কোন গোল হজম করেনি। কাতার বিশ্বকাপে আট গোল করা সুপারস্টার এমবাপ্পে এখনো পর্যন্ত জার্মানিতে একটিমাত্র গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে। ইউরো ক্যারিয়ারে এমবাপ্পের এটাই প্রথম গোল। 

গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে নাক ভেঙ্গে যাওয়ায় নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গোলশুন্য ড্রয়ের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে খেলতে পারেননি এমবাপ্পে। যদিও অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ইনজুরিতে পড়া ঐ ম্যাচটিতে একমাত্র গোলটি তার কারনেই হয়েছিল। ফরাসি কোচ দেশ্যম বলেছেন, ‘অবশ্যই আক্রমনভাগ যদি শক্তিশালী হয়ে নিজেদের প্রমান করে তবে ম্যাচ জয় অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। কিন্তু ইউরো কিংবা বিশ^কাপের মত বড় টুর্নামেন্টগুলোতে স্টাইকারদের ব্যর্থতায় খুব বেশীদুর এগুনো যায়না।’

সাম্প্রতিক সময়ে বড় আসরগুলোতে ফ্রান্সের পারফরমেন্স ছিল চোখে পড়ার মত। প্রায় এক দশক আগে ২০১৪ বিশ্বকাপের পর ফ্রান্স শুধুমাত্র একবার বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে পারেনি। ২০২০ ইউরোতে শেষ ষোলতে তারা সুইজারল্যান্ডের কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছিল। ২০১৬ ইউরোতে রানার্স-আপ ছাড়াও ২০১৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ও ২০২২ বিশ্বকাপে রানার্স-আপ শিরোপা জয় করে ফ্রান্স।

পর্তুগালের বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ের পর দেশ্যম বলেছিলেন, ফ্রান্স মোটেই মনে করছে না এবারও তারা শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান ধরে রাখবে। প্রতিটি বড় টুর্নামেন্টেই ফাইনাল পর্যন্ত খেলার লক্ষ্য নিয়েই সকলে মাঠে নামে, ফ্রান্সও ব্যতিক্রম নয়।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে


 

 

 

Link copied!