সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটে আলোচিত বিষয় তাসকিন আহমেদের ঘুমকাণ্ড। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি গণমাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা। এবার এ বিষয়ে রিপোর্ট করায় জাতীয় দৈনিক সমকালের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তাসকিন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন, প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ এবং স্টাফ রিপোর্টার সিকেন্দার আলি বরাবর তাসকিন আহমেদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জোবায়ের মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব একটি আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশে বলা হয়, গত ৩ জুলাই দৈনিক সমকালে প্রকাশিত `তাসকিনের ঘুম এবং বমিকাণ্ড` শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যা মানহানিকর। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি সংবাদ প্রচার করতে হবে। না হলে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে।
এর কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি বার্তা লিখেন তাসকিন। সেখানে তিনি দাবি, যেসব খবর ছড়িয়েছে, সেসবের বেশিরভাগই সত্য নয়। তিনি লেখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে। প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।
দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতিমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।
আমি সকাল ৮:৩৭ এ উঠেছিলাম এবং ৮:৪৩ এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে আমি সকাল ৯:০০ এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০ এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০ এ। আমরা সকাল ১০:১৫ এ জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০ এ শুরু হয়েছিল।
এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।
যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না উঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিলো। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না।
তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।
ভবিষ্যতে, আমি আইনি ভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো যাতে কেউ আমার ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসাবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে।
আমার সকল ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।’
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :