রবিবার উইম্বলডনের পুরুষদের ফাইনাল। নোভাক জকোভিচের সামনে কার্লোস আলকারাজ। এবারের উইম্বলডনে হট ফর্মে রয়েছেন জোকার। তাঁর কাছে সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে ২৫তম গ্র্যান্ডস্লাম জিতে পুরুষ মহিলা দুই বিভাগ মিলে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের নজির গড়ার। একই সঙ্গে উইম্বলডন জয়ের নিরিখে সুইস কিংবদন্তি রজার ফেডেরারকেও ছুঁয়ে ফেলার সুযোগ থাকছে তাঁর কাছে। ম্যাচের আগে জোকার অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী। কথা শুনে মনে হচ্ছে, অপূর্ণ কাজটা রবিবারই সেড়ে ফেলতে চলেছেন তিনি।
নোভাক জকোভিচ ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বলছেন, ‘এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার নিঃসন্দেহে। রজার ফেডেরারের ৮টা উইম্বলডন আছে, আমি সাতটা জিতেছি। এখানে আমার কাছে ২৫তম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের সুযোগও থাকছে। এটা আমার কাছে মোটিভেশনের কাজ করলেও প্রত্যাশার চাপ কাজ করছে। আমি ৩৭ বছর বয়সেও যখন ২১ বছর বয়সীদের বিরুদ্ধে খেলতে নামি জেতার মানসিকতা নিয়েই খেলি। আর মানুষও আশা করে যে আমি ৯৯ শতাংশ ম্যাচই জিতব। আমি যখনই কোর্টে আসি তখন নিজেকে জানিক, মেদভেদেভ, কার্লোসদের বিরুদ্ধে খেলার জন্য তৈরি রাখি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য`।
উইম্বলডন ফাইনালে নামার আগে সার্বিয়ান তারকা বলছেন, ‘এই বছরটা আমার ভালো যায়নি, প্রথম ৬ মাস খুব খারাপই গেছেস তবে এটা অনেক বছরই রয়েছে। ফলে বিষয়টা নতুন নয়। আমাকে চোট কাটিয়ে উঠে অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়েছে। অতীতে এমন অনেক সময়ই হয়েছে হয়ত খুব ভালো খেলিনি তবুও উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ২০১৮ সালে আমার হাতে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল, আমি ক্রমতালিকায় ২০ নম্বরে নেমে গেছিলাম। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে আর রোলা গাঁরোর কোয়ার্টার ফাইনালে সেবার হেরে গেছিলাম। নিজের পছন্দ অনুযায়ী টেনিস খেলতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি উইম্বলডন জিতেছিলাম। তারপর ইউএস ওপেনও জিতি। এর কিছু সময় পরই আমি বিশ্বের ১ নম্বর খেলোয়াড় হয়ে যায়’।
জোকার আরও বলেন, `একটা কথা বলতে পারি, উইম্বলডন আমার থেকে সেরাটা বার করে নিয়ে আসে সব সময়। সব সময়ই আমায় এই গ্র্যান্ডস্লাম উদ্বুদ্ধ করে ভালো খেলার জন্য। যে কোনও গ্র্যান্ডস্লাম আমি খেলি না কেন, এখন সবই ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়েছ। এই বিষয়টাকেই নিজের সেরা পারফরমেন্সের অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে চাই। ’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :