১২ বছর পরে আবার ইউরোপের সেরা দেশ হল স্পেন। এই নিয়ে চার বার ইউরো জিতল স্পেন। এদিকে আরও এক বার ফাইনালে উঠে হারল ইংল্যান্ড। গত বার ঘরের মাঠে হারতে হয়েছিল ইতালির কাছে। এ বার হ্যারি কেনদের স্বপ্নভঙ্গ করল স্পেন। প্রথম ইউরোর জন্য ইংল্যান্ডের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হল।
বারবার নকআউটে উঠলেও, শেষ রক্ষা হচ্ছে না। আশা ভঙ্গ হচ্ছে। ২০২০ সালের ইউরো ফাইনালে ইতালির কাছে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে হারতে হয় ফ্রান্সের কাছে। ২০২৪ সালের ইউরো ফাইনালেও তারা শেষ রক্ষা করতে পারল না। নিঃসন্দেহে যোগ্য দল হিসাবেই ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই তারা দুরন্ত ছন্দে ছিল। সেখানে ইংল্যান্ড কিন্তু একটু নড়বড় করতে করতেই ফাইনালে উঠেছিল।
ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স দেখার পর, ইউরো চলাকালীনই দলের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন ইংরেজ ভক্তরা। কিন্তু দল ফাইনালে ওঠায়, সেই দাবি সাময়িক ভাবে ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। এবার ইউরোর ফাইনালে স্পেনের কাছে হারের পর কি সত্যিই পদত্যাগ করতে চলেছেন সাউথগেট? ম্যাচ শেষে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের ইংল্যান্ডের কোচ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার দিক থেকে ইংল্যান্ড এখন ভালো জায়গায় আছে। দলের বেশির ভাগ ফুটবলার তরুণ হলেও, সর্বোচ্চ মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ওদের। পরের বিশ্বকাপ, এমনকি, পরের ইউরো কাপেও এই দলের অনেক ফুটবলার থাকবে। ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ ভাল। কিন্তু এই মুহূর্তে সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই।’
তবে সঙ্গে সাউথগেট যোগ করেছেন, ‘আমার মনে হয় না, এভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এটা সঠিক সময়। আমার সঠিক মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে সেটা এখন নয়।’ তবে এদিন নিজের বক্তব্য রাখার সময়ে সাউথগেট দলকে ‘ইংল্যান্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগে যখন দলকে নিয়ে কথা বলতেন, তখন ‘আমরা’ বলতেন। তবে চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে সাউথগেটের। তত দিন কি থাকবেন তিনি? নাকি তার আগেই সরে যাবেন? প্রশ্নটা তীব্র আকার নিয়েছে।
এদিকে ম্যাচের হ্যারি কেন বলেছেন, ‘দলের জন্য আরও একটি কঠিন মুহূর্ত এবং ব্যক্তিগত ভাবে আমার জন্যও। শারীরিক ভাবে এবং মানসিক ভাবেও অনেক কঠিন একটি টুর্নামেন্ট। এত কাছে এসেও জিততে না পারা! এখন আমরা (মানসিক ভাবে) তলানিতে আছি। আমরা ট্রফি জেতার পথ বের করতে পারিনি। এটা লম্বা সময় ধরে আমাদের যন্ত্রণা দেবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :