প্যারিস অলিম্পিকে অনবদ্য ছন্দে দেখা গেল নোভাক জকোভিচকে। চলতি বছরেই হাতছাড়া করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক হওয়ার সুযোগ। এখনও ঝুলিতে রয়েছে পুরুষদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি গ্র্যান্ডস্লাম, পাখীর চোখ আর একটা।
কিন্তু উইম্বডন ফাইনালে স্প্যানিশ কার্লেস আলকারাজের কাছে হেরে গিয়ে ইতিহাস রচনা থেকে এক ধাপ দূরেই থাকতে হয়েছে সার্বিয়ান জোকারকে। এখনও ট্রফি ক্যাবেনেটে সব পুরস্কার থাকলেও কখনও জিততে পারেননি অলিম্পিক্সে সোনা। তিনবার জিতেছেন রোলাঁ গারোয় গ্র্যান্ডস্লাম, কদিন আগেই দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়েছেন লাল সুরকির কোর্টের রাজা রাফায়েল নাদালকে। এবার প্যারিসেই জার্মানির প্রতিপক্ষ ডমিনিক কোফারকে হারিয়ে পুরুষদের সিঙ্গলস টেনিসের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করলেন জকোভিচ।
দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে রাফায়েল নাদালকে উড়িয়ে দেওয়ার পরই বোঝা গেছিল,এবারের অলিম্পিক্সে অপ্রতিরোধ্য গতিতে দৌঁড়াবেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ। এখন যা বয়স, তাতে প্যারিসে স্বর্ণপদক জিততে না পারলে লস অ্যাঞ্জেলসে গিয়ে সেই স্বপ্নপূরণ করা কঠিন, সেটা জানেন জোকারও। তাই বুধবার জার্মানির প্রতিদ্বন্দীকে ঝড়ের গতিতে উড়িয়ে দিলেন জকোভিচ। প্রথম পুরুষ টেনিস তারকা হিসেবে চারটি অলিম্পিক্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার নজির গড়লেন তিনি।
জার্মান ডমিনিকের বিরুদ্ধে একটি সেটও হারেননি জকোভিচ। অবশ্য শুধু এই ম্যাচে নন, এখনও পর্যন্ত তিনটি রাউন্ডেই স্ট্রেট সেটে জিতেছেন জোকার, ফলে একটা সেটেও হারের মুখ দেখেননি। এরই মধ্যে বুধবার প্রথম সেট ৭-৫ ফলে জিতে নেন ২৪টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। দ্বিতীয় সেটের সময় চোটের জায়গায় ব্যথা অনুভব করেন ডমিনিক, এরপর তাঁর পারফরমেন্স গ্রাম নিম্নমুখী হতে থাকে। সেই সুযোগে অলিম্পিক্সের আসরে নিজের ১৬তম জয় তুলে নেন জোকার, দ্বিতীয় সেট জিতে নেন ৬-৩ ফলে। ১৯৮৮ সালের পর থেকে অলিম্পিক্সের আসরে ১৬ ম্যাচে জয় একটা বিরল রেকর্ড, যা অন্য কারোর নেই।
কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে নোভাক জকোভিচের প্রতিপক্ষ গ্রিক টেনিস তারকা স্টিফানোস সিতসিপাস। অন্যদিকে কার্লোস আলকারাজও চাইবেন সিঙ্গলসে জিতে ফের একবার নোভাক জকোভিচের বিরুদ্ধে মাস্ট উইন ম্যাচে মুখোমুখি হতে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :