মহিলা ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে সেমিফাইনালের খেলা চলার সময়েই চোট পেলেন ক্যারোলিনা মারিন। কোর্টে ভুল ভাবে পড়ে ঘুরে গেল পা। কাঁদতে কাঁদতে ম্যাচ ছাড়লেন স্পেনের খেলোয়াড়। অলিম্পিক্স থেকেও বিদায় নিতে হল ২০১৬ সালের সোনা জয়ীকে।
চিনের হে বিংজিয়াওয়ের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নেমেছিলেন মারিন। যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন তিনি ২১-১৪, ১০-৬ গেমে এগিয়ে ছিলেন। তবে পড়ে যাওয়ার পর আর ম্যাচে নামতে পারেননি।
দ্বিতীয় গেমে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লাফিয়ে উঠে ব্যাকহ্যান্ডে একটি রিটার্ন করতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁর ডান পা কোর্টে ভুল ভাবে পড়ে। হাঁটু ঘুরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কোর্টে পড়ে যান মারিন। যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় মারিনকে। কাঁদতে শুরু করেন তিনি। বুঝতেই পেরেছিলেন কোনও ভাবে আর খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
তবু উঠে দাঁড়িয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে দু’টি পয়েন্ট খেলেন। দু’টিতেই হারেন। তার পরে আর চালিয়ে যেতে পারেননি। মারিনের সঙ্গে কোর্টে যাঁরা তাঁকে সমর্থন করতে হাজির হয়েছিলেন তাঁরাও কাঁদতে শুরু করেন। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ায় ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে নামার সুযোগ ছিল তাঁর কাছে। সেটাও সম্ভব নয় বলেই জানা গিয়েছে।
মা-কে হারিয়ে গাঁজা সেবন, অলিম্পিক্সের স্বপ্ন কেড়েছিল নির্বাসন, আশা জাগিয়েও পারলেন না শাকারি রিয়োয় সোনা জিতলেও টোকিয়ো অলিম্পিক্সে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। ৩১ বছর বয়স হওয়ায় আর অলিম্পিক্সে নামা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
২০১৬ সালে মারিন যাকে হারিয়ে সোনা জিতেছিলেন, সেই পি ভি সিন্ধুর তাঁর আরোগ্য কামনা করে একটি পোস্ট করেছেন। সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আমার অন্যতম শত্রু এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে পৃথিবীর সমস্ত ইতিবাচক শক্তি দিতে চাই। একটা দারুণ ম্যাচ খেলছিলে। তোমাকে সমর্থন করছিলাম। একটা সত্যি কথা বলি। যে খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কখনও খেলতে চাইতাম না, সে হল তুমি। তোমার ইচ্ছাশক্তি, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব এবং বিপক্ষকে চাপে ফেলার ক্ষমতা আর কারও মধ্যে দেখিনি। তোমার ইচ্ছাশক্তি দেখে বলতে পারি, খুব দ্রুত সেরে উঠবে। জেনে রাখো, আমি তোমার সবচেয়ে বড় সমর্থক।”
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :