শুধু কূটনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং অলিম্পিক্সের মতো ক্রীড়া মহাযজ্ঞেও আমেরিকা ও চিনের লড়াই চলে সেয়ানে-সেয়ানে। এবার ডোপিং নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে নতুন মাত্রা পেল সেই দ্বন্দ্ব। প্যারিস অলিম্পিক্স চলাকালীনই একদিকে চিনের ডোপ বিরোধী সংস্থা আমেরিকার অ্যাথলিটদের নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। অন্যদিকে চিনের সাঁতারুদের ডোপ টেস্ট সম্পর্কিত একটি মিডিয়া রিপোর্টকে হাতিয়ার করে পালটা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার চিনের ডোপ বিরোধী সংস্থা মার্কিন অ্যাথলিটদের ডোপ টেস্ট বাড়ানোর দাবি তোলে এই অভিযোগে যে, আমেরিকার অ্যাথলিটরা সংস্থাগতভাবে ড্রাগ নিয়েও তা লুকিয়ে যায়। লড়াইটা শুরু হয় গত এপ্রিলের একটি মিডিয়া রিপোর্টকে ঘিরে। সেই রিপোর্টে প্রকাশ করা হয় যে, ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিক্সের আগে ২৩ জন চিনা সাঁতারু ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হয়। তবে তার পরেও তাঁদের অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
চিনের তরফে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপ এজেন্সির কাছে নাকি যুক্তি পেশ করা হয় যে, দুষিত খাবার খেয়েই সাঁতারুদের শরীরে প্রবেশ করে নিষিদ্ধ ড্রাগের নমুনা। ওয়াডার তরফে সেই যুক্তি নাকি মেনেও নেওয়া হয় এবং সেই জন্যই শাস্তির কবলে পড়তে হয়নি চিনা সাঁতারুদের।
এমন খবর সামনে আসার পরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ওয়াডা। বিশেষ করে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কার্যত ধুইয়ে দেয় আন্তর্জাতিক ডোপ বিরোধি সংস্থাকে। অভিযোগ তোলা হয় যে, চিনা অ্যাথলিটদের ডোপ টেস্টে ধরা পড়ার বিষয়টি আড়াল করা হয়েছে ওয়াডার তরফে।
বৃহস্পতিবার চিনা সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করা হয় এই মর্মে যে, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে আমেরিকার অ্যাথলিটদের সংস্থাগত ডোপিংয়ের সমস্যা রয়েছে। তারা মার্কিন অ্যাথলিট এরিয়ন নাইটনের প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে এক্ষেত্রে। এরিয়ন গত মার্চে ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হয়। তবে শেষমেশ নিরপেক্ষ তদন্তকারী এক্ষেত্রে রায় দেন যে, সম্ভবত দুষিত মাংস খাওয়ার জন্যই তারকা অ্যাথলিটের শরীরে নিষিদ্ধ ড্রাগ প্রবেশ করেছে। সেই কারণেই নাইটনকে প্যারিস গেমসে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ছেলেদের ২০০ মিটার ইভেন্টের ফাইনালে ওঠেন নাইটন। তার পরেই চিনা ডোপ বিরোধী সংস্থার তরফে সংশয় প্রকাশ করা হয়। যদিও নাইটনের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ড্রাগ নেওয়ার কোনও তথ্য-প্রমাণ পেশ করেনি চিনা সংস্থা।
প্যারিস অলিম্পক্সের পদক তালিকায় আমেরিকা ও চিনের লড়াই চলছে প্রবল। ১৪তম দিনে চিন ৩১টি সেনা-সহ ৭৬টি পদক জিতে মেডেল টেবিলের এক নম্বরে রয়েছে। আমেরিকা ৩০টি সোনা-সহ ১০৩টি পদক জিতে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :