ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ধারাভাষ্য ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচিং নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। ম্যাথিউ মটের পদত্যাগের পর ইংল্যান্ডের কোচ তিনিই হবেন এমন আলোচনা জোরেশোরে উঠলেও সেই সম্ভাবনা নাকচ করলেন সাবেক অজি খেলোয়াড়।
আইসিসি রিভিউকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলাভাবেই বলেন পন্টিং। নিজের বর্তমান ব্যস্ততার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো দলের কোচিং করানোটা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে সাফ জানানা। সুবর্ণ সুযোগ প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে টেলিভিশনের ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষকের কাজ এবং বাড়িতে আরো বেশি সমইয় দেয়াসহ অন্যান্য প্রতিশ্রুতি রক্ষাকে কারণ হিসেবে দাবি করেন। ইংল্যান্ডে কোচিং করানোটা নিজের অস্ট্রেলিয়ান হওয়ায় সামান্য ভিন্নরকম মনে হবে বলেও তিনি জানান।
‘না, আমি আসলে এমনটা করার কথা ভাবব না। আমি অন রেকর্ড বলছি, এই মুহূর্তে জীবনটা যেভাবে চলছে, তাতে আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাকরিটা আসলেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাকরিতে আরো অনেক বেশি সময় দেওয়া লাগে। আমার টিভিতে এবং অন্যান্য যে কাজগুলো করি, এসবের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। বাড়িতে পর্যাপ্ত সময় থাকাতে চাই, যা আমি গত কয়েক বছরে খুব বেশি পাইনি।’
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে সাত বছরের মেয়াদ শেষ করেছেন পন্টিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লীগ ক্রিকেটে (এমএলসি) ওয়াশিংটন ফ্রিডমের কোচিং করান। দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে চুক্তি শেষের পর তিনি আবারো আইপিএলের কোনো দলের কোচিং করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
‘আমি আবার আইপিএলে কোচ হতে চাই। প্রতি বছরই দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে শুরুর দিনগুলোতে হোক কিংবা মুম্বাইয়ের প্রধান কোচ হিসেবে কয়েক বছর থাকার জন্য হোক। তারপর আমি সাতটি মৌসুম কাটিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত যেভাবে চেয়েছিলাম এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি যেভাবে চেয়েছিল, সেভাবে সবকিছু কাজ করেনি।’
দিল্লির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ না বাড়া প্রসঙ্গে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এমন একজন স্থানীয় কোচ নিয়োগ করতে চাইছে যিনি দলকে আরও বেশি সময় দিতে পারেন, বিশেষ করে অফ-সিজনে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :