সিলেটে চলতি বছরের মার্চে শ্রীলংকার বিপক্ষে নাহিদের টেস্ট অভিষেক হয়। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় পাঁচ মাস। চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই পেসার লম্বা সময় ধরে খেলার মাঝে না থাকাকে বড় করে দেখছেন না। দলের সঙ্গে সোমবার দেশ ছাড়ার আগে তিনি ক্যাম্পে থাকাকালীন প্রস্তুতিটা ঠিকঠাক হয়েছে বলেই জানালেন।
নাহিদ বলেন, ‘শেষ তিন মাস টাইগার্স ক্যাম্পে অনুশীলন ও ফিটনেস টেস্ট হয়েছে। একমাস ধরে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। আমাদের অনেক অনুশীলন হয়েছে।’
একমাত্র টেস্ট খেলা নাহিদ লঙ্কানদের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। ইকোনমি রেট ছিল বেশ ব্যয়বহুল, ৬.৩২। বোলিং গড় ছিল ৪৩, যা প্রমাণ করে লাল বলের ক্রিকেটে তাকে সাত সমুদ্র আর তের নদী পাড়ি দিতে হবে। এবার দেশের জন্য ভালো কিছু করার জন্যই পাকিস্তান সফরের আগে মুখিয়ে আছেন ২১ বর্ষী পেসার।
রানা বলেন, ‘অবশ্যই দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। দেশের জন্য ভালোকিছু করলে সবার ভালো লাগে। ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য একটাই, দেশের জন্য ভালো কিছু করা।’
পাকিস্তান মানেই পেস বোলারদের আঁতুড়ঘর। ওয়াসিম আকরাম, ইমরান খান, ওয়াকার ইউনিসের মতো পেস বোলাররা এখান থেকেই উঠে এসেছে। এশিয়ার দেশটিকে প্রতিভাবান পেসারের উর্বর ভূমি বলাটা অমূলক নয়। সেখানে খেলতে যাওয়ার আগে কতটা রোমাঞ্চিত, নাহিদ এই প্রশ্নের উত্তরটাও দেন।
‘আমি অবশ্যই রোমাঞ্চিত। বাইরের দেশে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলতে যাচ্ছি। যদি একাদশে সুযোগ পাই, আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমার লক্ষ্য থাকবে একটাই যে একাদশে সুযোগ পেলে সেরাটা দেওয়ার এবং দল আমার কাছে যেটা চায়, সেটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :