কেনিয়া ক্রিকেট দলের হেড কোচ পদে এলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোড্ডা গণেশ। অতীতে কেনিয়া দল তাদের সেরা সাফল্য পেয়েছে একদিনের ক্রিকেটে এক ভারতীয়র হাত ধরেই। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য সন্দীপ পাতিল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের সময় কেনিয়া ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন। সেবার তাদের জাতীয় দল উঠেছিল ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে, শেষ পর্যন্ত ভারতের কাছে হেরে ছিটকে যায় বিশ্বকাপ থেকে।
কিন্তু সেবার যে তাঁরা এতদূর পৌঁছাবেন তাও ভাবতে পারেনি কেউ। সাম্প্রতিক সময় কেনিয়া ক্রিকেট দলের পারফরমেন্স একদমই তলানিতে, এই পরিস্থিতিতে আরও এক ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটারের কাঁধে দলের হেড কোচের গুরুদায়িত্ব তুলে দিল কেনিয়া ক্রিকেট বোর্ড।
১৯৯৭ সালে অভিষেকের পর জাতীয় দলের জার্সিতে ৪টে টেস্ট ম্যাচ এবং ১টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছিলেন ডোড্ডা গণেশ। নিয়েছেন ৬ উইকেট, করেছেন ২৯ রান। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪৯৩ উইকেট রয়েছে ৫১ বছর বয়সী ডোড্ডা গণেশের ঝুলিতে, ব্যাটিং করতেন লোয়ার অর্ডারে। করেছেন ২৫৪৮ রান। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে কোচিংয়ে যুক্ত না থাকলেও ভারতের বিভিন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি, সেই সুবাদেই কেনিয়া জাতীয় দলের কোচ হওয়ার সুযোগ চলে আসে তাঁর কাছে।
ল্যামেক ওনইয়াগোর জায়গায় কোচের পদে এলেন গণেশ। যদিও তাঁর কোচিং স্টাফের ইউনিটে থাকবেন ওনইয়াগো, জোসেফ আসিচি এবং জোসেফ আঙ্গারা। তাঁর প্রথম কাজই হতে চলেছে দলকে বিশ্বকাপের আসরে নিয়ে আসা। সামনে রয়েছে ২০২৬ টি২০ বিশ্বকাপ। তাঁর আগে সেপ্টেম্বর মাসে আইসিসি ডিভিশন টু চ্যালেঞ্জ লিগ রয়েছে। সেখানে কাতার, ডেনমার্ক, জার্সি এবং পাপুয়া নিউ গিনির মুখোমুখি হবে ডোড্ডা গণেশের দল।
অক্টোবরে রয়েছে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য আফ্রিকান কোয়ালিফায়ার। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ওডিআই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে কেনিয়া। দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোড্ডা গণেশ জানিয়েছেন, ‘আমার প্রথম টার্গেটই হল বিশ্বকাপে কেনিয়া দলের যোগ্যতা অর্জন করা। আমি ক্রিকেটারদের মধ্যে দায়বদ্ধতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা দেখেছি। ক্রিকেটারদের মধ্যে জয়ের মানসিকতা রয়েছে। আমি ওদের খেলা ইউটিউবে দেখতাম, প্রতিভার অভাব নেই কেনিয়া দলে। ক্রিকেটাররাও বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে, ফলে ভালো ফলের ব্যাপারে আশাবাদী ’।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :