সদ্য সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে বিসিবির পরিচালকরা জানিয়েছেন, বিসিবির সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিতে রাজি আছেন পাপন। এ প্রসঙ্গে বোর্ডের প্রভাবশালী পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিসিবির একজন পরিচালক বলেন, পাপন ভাই কো-অপারেট করতে চান। তিনি সরে যেতে চান। কখন কী করবেন তা বলতে পারছি না। বিসিবির সিনিয়র পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
পাপন পদত্যাগ করলে আবারও নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হবে। সেক্ষেত্রে লম্বা সময় পর পরিবর্তন আসবে বিসিবির শীর্ষ নেতৃত্বে।গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিসিবির কোনো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না পাপন। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি দুই মাসে একটি করে পরিচালক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরপর তিন সভায় কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার পরিচালক পদ বাতিল বলে গণ্য করা হয়।
তাই নিজে থেকে পদ ত্যাগ না করে যদি কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকেন পাপন, তাহলে অন্তত ৬ মাসের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচালক ও সভাপতি পদে বহাল থাকবেন পাপন।
বিসিবির সূত্র জানায়—‘বিসিবিতে যেন সংস্কার করা হয়, সেজন্য নিজের পদ ছাড়তে সম্মত হয়েছেন পাপন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিতে হবে, পরবর্তীতে বিসিবির সভায় তা অনুমোদন করা হবে। বিসিবি সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র পাঠালে সভা ডাকা হবে।’
এর আগে পাপনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, ‘বর্তমানে বিসিবি সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে অবশ্যই সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত, তাই বিসিবির যারা পরিচালক আছেন তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যা করার, সেটি করবেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :