প্রায় তিন বছর পর টেস্ট ফরম্যাটে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগের ১৩ দেখায় টাইগারদের প্রাপ্তি মাত্র এক ড্র। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে এগারোটায় শুরু হবে খেলা।
রাওয়ালপিন্ডির উইকেট বিবেচনায় পেসারদের প্রাধান্য দিয়ে একাদশ গড়েছে পাকিস্তান। অভিন্ন পথে হাঁটতে পারে বাংলাদেশও। এমনিতেই টেস্ট বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট না। তার উপর বিদেশের মাটিতে, আর সেটা পাকিস্তানে। কখনোই সেখানে কোনো ম্যাচ জেতেনি টাইগাররা।
রাওয়ালপিন্ডির এই স্টেডিয়াম অবশ্য বাংলাদেশের অচেনা নয়। চার বছর আগের শেষ সফরে পিন্ডিতেই হয়েছিল একমাত্র টেস্টটা। সেখানে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। সঙ্গে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর পেস তাণ্ডব। এবারও এই দু’পেসার আছেন পাক একাদশে।
ম্যাচ মাঠে গড়ানোর ৪০ ঘণ্টা আগেই একাদশ প্রকাশ করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। শান মাসুদের নেতৃত্বাধীন দলে আছেন চারজন পেসার, ছয়জন ব্যাটসম্যান ও একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। দলে নেই একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারও। কেন এমন সিদ্ধান্ত, টেস্ট শুরুর এক দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।
মাসুদ বলেন, যখনই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি, রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশন পেসার ও ব্যাটসম্যানদের সহায়তা করেছে। স্পিন বোলিং ওই অর্থে কোনো হুমকি নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন চলেছে, তা মাথায় রেখেই এগোতে চেয়েছি। নতুন কিছু করতে চাই না, রাওয়ালপিন্ডিতে সাধারণত যে সুবিধা পাওয়া যায় না।
রাওয়ালপিন্ডি মাঠের পরিসংখ্যানও অন্তত মাসুদের পক্ষে কথা বলছে। টেস্টে এখানে পেসার ও ব্যাটাররা সব সময় বাড়তি সুবিধা পান। এই মাঠে হওয়া সর্বশেষ ৫ টেস্টে পেসাররা নিয়েছেন ৭৭ উইকেট। যেখানে উইকেটপ্রতি রান দিতে হয়েছে ৩৫ করে, ওভারপ্রতি ৩.১৮।
আর স্পিনাররা ৫ টেস্টে তারা উইকেট নিয়েছেন ৪৬টি। একটি উইকেট নিতে রান খরচ করেছেন ৫৫.৬৭ করে। স্পিনারদের চেয়ে পেসাররা যে রাওয়ালপিন্ডিতে বেশি সুবিধা পান, সেটা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। সর্বশেষ ৫ টেস্টে এখানে ব্যাটসম্যানদের গড় প্রায় ৪২।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :