কলকাতা নাইট রাইডার্স ক্রিকেটার হিসাবে তাকে পরিচিতি দিয়েছে। কেকেআরের হয়ে ভাল খেলেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন রিঙ্কু সিংহ। কিন্তু সামনের বছরও রিঙ্কু কেকেআরে থাকবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। সামনেই আইপিএলের বড় নিলাম। তার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ছেড়ে দিতে পারে। তেমনটা হলে তিনটি দল নিলামে ঝাঁপাতে পারে রিঙ্কুকে কিনতে। তারা কারা?
রিঙ্কু নিজে জানিয়েছেন কেকেআর ছেড়ে দিলে বিরাট কোহলিদের দলে খেলতে চান তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে রিঙ্কুকে প্রশ্ন করা হয় যে কলকাতা তাঁকে ছাড়লে কোন দলে যেতে চান তিনি। জবাবে রিঙ্কু বলেন, “রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কারণ, ওখানে বিরাট কোহলি খেলে।”
তবে আরও দু’টি দল লড়াইয়ে থাকতে পারে। তাদের মধ্যে অন্যতম লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত মরসুমে ফিনিশারের অভাব ভুগিয়েছে তাদের। আগামী মরসুমের আগে অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও দল ছাড়তে পারেন। সে ক্ষেত্রে রিঙ্কুকে উপরের দিকেও খেলাতে পারে লখনউ। আইপিএলে রিঙ্কু এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞ। জাতীয় দলেও খেলেন। এই রকম এক জন ক্রিকেটারকে নিতে চাইছে লখনউ।
অপর দলটি গুজরাট টাইটান্স। গত মরসুমে গুজরাতও একই সমস্যায় ভুগেছে। ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওতিয়ার উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। সেই চাপ মেটাতে রিঙ্কুকে নিতে ঝাঁপাতে পারে তারা। তবে সবটাই নির্ভর করছে কেকেআরের উপর। সাধারণত, দলে খুব বেশি বদল করে না তারা। রিঙ্কু ঘরের ছেলে। তাকে ধরে রাখতে না পারলেও নিলামে নেওয়ার সুযোগ থাকবে কলকাতার। যদি আইপিএলের নিলামে ‘রাইট টু ম্যাচ’ কার্ড থাকে তা হলে তা ব্যবহার করে রিঙ্কুকে ধরে রাখতে পারে শাহরুখ খানের দল।
২০১৮ সাল থেকে কেকেআরের হয়ে খেলছেন রিঙ্কু। প্রথম বার তাঁকে ৮০ লক্ষ টাকায় কিনেছিল শাহরুখ খানের দল। ২০২২ সালের নিলামে রিঙ্কুকে আবার ৫৫ লক্ষ টাকায় কেনে কেকেআর। ২০২২ সালের আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের যশ দয়ালের বলে পর পর পাঁচটি ছক্কা মেরে কেকেআরকে জিতিয়ে নজর কাড়েন রিঙ্কু। তার পরেই সুযোগ পান ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে। সেখানে ধারাবাহিক ভাবে রান করেন তিনি। তবে তার পরেও ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি এই বাঁহাতি ব্যাটার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :