রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলার সময় ঢাকায় সাকিব আল হাসানের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় সাকিবসহ মোট ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামি হওয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তার খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে তা উড়িয়ে দিয়েছে বিসিবি।সাকিব বিসিবির চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার এবং এই মুহূর্তে জাতীয় একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে পাকিস্তান সফরে আছেন। তবে বিসিবি সাকিবকে আইনি সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বোর্ড কর্তা বলছেন, সাকিব খেলা চালিয়ে যাবে। এক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখনও এফআইআর পর্যায়ে আছে। এরপরও অনেকগুলো ধাপ আছে। যতক্ষণ না তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, ওকে আমরা খেলাবো। পাকিস্তান সফরের পর দল ভারতে যাবে। সেখানেও আমরা সাকিববে চাই। এছাড়া ও আমাদের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার। প্রয়োজনে আমরা তাকে আইনগত সহায়তা দেবো।’
আগামী ৩০ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে সফরকারী বাংলাদেশ। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর রাতে দেশে ফিরবে। তারপর ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারতে যাবে টাইগাররা। মাঝের এই সময়টায় অবশ্য দেশে ফিরবেন না সাকিব। ইংল্যান্ডে সারের হয়ে কাউন্টি খেলতে যাবেন এই অলরাউন্ডার। এর জন্য বিসিবি তাকে অনাপত্তিপত্রও দিয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আদাবরের পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম থানায় মামলা করেন। শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকের সঙ্গে আসামী করা হয় সাকিবকেও। গেল সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব।
কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর অনেক আগে থেকেই দেশের বাইরে আছেন সাকিব আল হাসান। আন্দোলন যখন জোরালো হতে শুরু করে, তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) খেলছিলেন। আর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময় সাকিব ব্যস্ত ছিলেন কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ নিয়ে।
হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে মামলার তদন্তের স্বার্তে সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিসিবিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এক আইনজীবী। আজ (২৭ আগস্ট) সেটার জবাবও দিয়েছে বিসিবি। যেখানে আইনজীবীদের মাধ্যমে সাকিবের পক্ষে বিসিবি তাদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :