অভিষিক্ত ডানি ওলমোর গোলে পিছিয়ে পড়েও রায়ো ভায়োকানোকে লা লিগায় ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে বার্সেলোনা।স্প্যানিশ এই প্লেমেকার ৮২ মিনিটে বার্সেলোনাকে তিন ম্যাচে তৃতীয় জয় পেতে সহযোগিতা করেছেন। নতুন কোচ হান্সি ফ্লিকের অধীনে মৌসুমের শুরুটাও দুর্দান্ত করেছেন কাতালান জায়ান্টরা।
এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত আর্থিক আইন ভঙ্গের কারনে আরবি লিপজিগ থেকে ওলমোর সাথে চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারছিল না বার্সা। কাল প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই রায়োর ভায়েকাস স্টেডিয়ামে নিজেকে প্রমান করেছেন স্প্যানিশ এই তারকা।
প্রথমার্ধে উইনাই লোপেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছির রায়ো। ৬০ মিনিটে পেড্রির গোলে সমতায় ফিরে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই দলকে তিন পয়েন্ট উপহার দিয়েছেন ওলমো।
ম্যাচ শেষে ওলমো বলেন, ‘এখানে আসার পর থেকেই মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। অভিষেক ম্যাচের অপেক্ষায় ছিলাম। এর থেকে ভাল শুরু আর হতে পারেনা। শারিরীক ভাবে খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার জার্সি গায়ে খেলার সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগিয়েছি।’
ম্যাচের একেবারে শেষভাগে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ে ১৭ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মার্ক বার্নাল মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। মৌসুমের শুরুতেই ভাল খেলতে থাকা তরুন এই মিডফিল্ডারের ইনজুরি ফ্লিককে দু:শ্চিন্তায় ফেলেছে। এ সম্পর্কে ফ্লিক বলেছেন, ‘এটা সত্যিই দু:খজনক। বার্নালের ইনজুরি দেখে খুব একটা ভাল মনে হয়নি। আগামীকাল পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা জিতেছি ঠিকই, কিন্তু ড্রেসিংরুমে কেউই খুশী ছিলনা।’
ক্লাবের শতবর্ষ পালনকারী রায়ো ভায়োকানো এ সপ্তাহের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক প্লেমেকার হামেস রড্রিগুয়েজকে দলে ভিড়িয়েছে। কাল অবশ্য প্রেসিডেন্সিয়াল বক্সে বসে কলম্বিয়ান এই তারকা ম্যাচ উপভোগ করেছেন।
শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ম্যাচ উপহার দেয় স্বাগতিকরা। ডানদিক থেকে জর্জ ডি ফ্রুটোস বারবার আক্রমন করার চেষ্টা করেছেন। তার ক্রসেই লোপেজের লো ফিনিশিংয়ে ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় রায়ো। প্রথমার্ধে বার্সেলোনাকে ভালই প্রতিরোধ করেছে রায়ো। মাঝে মাঝে টিনএজার লামিন ইয়ামাল কিছুটা আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফেরান তোরেসের স্থানে ওলমোকে মাঠে নামান ফ্লিক। ওলমো মাঠে নেমেই সেন্ট্রাল এ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। এসময় বামদিক থেকে তাকে সহযোগিতা করেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনহা। পোলিশ অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড রবার্ট লিওয়ানদোস্কি ম্যাচে প্রায় সমতা এনেই ফেলেছিলেন।
কিন্তু রাফিনহার বিপদজনক ক্রসে তার শটটি গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। রাফিনহার ফ্রি-কিক অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩০ গজ দুর থেকে ওলমোর শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। আক্রমনের ধার বজায় রেখে ৬০ মিনিটে রাফিনহার পাসে সমতা ফেরায় পেড্রি। ১০ মিনিট পর ইয়ামালের শট গোলরক্ষক ডানি কারডেনাস রুখে দিলে ফিরতি বল লিওয়ানদোস্কি বল জালে জড়ান। কিন্তু তার গোল জুলেস কুন্ডের ফাউলের কারনে বিতর্কিত ভাবে বাতিল করে দেয় ভিএআর। ৮২ মিনিটে ইয়ামালের এ্যাসিস্টে ওলমো আর কোন ভুল করেননি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :