বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের বিরুদ্ধে সম্প্রতি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের বিরুদ্ধে আনা জমি দখলের অভিযোগের বিভিন্ন বিষয়ের জবাব দেন পাইলট। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ।
সংবাদ সম্মেলনে পাইলট দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করা জাহাঙ্গীর আলম ও নাসরিন সুলতানা এবং তার ভাই শাহনুর ইসলাম মুকুলের দাবি করা জমিতে তাদের কোন প্রাপ্য অংশ নেই। চক্রটি তাকে বিতর্কিত করতে এবং আদালতের বারান্দায় তুলতেই এমন ফন্দি এঁটেছে।
এছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পুনর্গঠনে খালেদ মাসুদ পাইলটের নাম আলোচনা এসেছে। এ অবস্থায় তাকে একটি চক্র বিতর্কিত বানাতে এবং বোর্ডে স্থান যেন না পান সেজন্যই তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
জমির মালিকদের ফোন করে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে পাইলট সাংবাদিকদের জানান, জাহাঙ্গীর আলম সেই এলাকায় একজন ত্রাস সৃষ্টিকারী ব্যাক্তি। যে কোন জমিতে কোন ঝামেলা থাকলে সেখানে মাথা ঢুকিয়ে মামলা দিয়ে তিনি তার স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে নানা পোস্ট ও আলোচনা-সমালোচনার প্রসঙ্গ টেনে পাইলট বলেন, আমি নাকি আওয়ামী লীগ করি। আসলে আমি চেয়ারকে সম্মান করি। সকল পোস্ট হোল্ডারকারীদের আমি সম্মান করি। আমি কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ট নই।
পাইলটের দাবি ৫ আগষ্টের পর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পক্ষ নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। যাতে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে কোন পদে যেতে না পারেন। সকল অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও জোর দাবি করেন পাইলট।
পাইলট চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তার কেনা জমিতে যদি কোন সমস্যা থেকে তিনি এই জমি ছেড়ে দেবেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে করা জমি দখলের সংবাদ সম্মেলনের নিউজ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :