ইনিংসের ৫৩তম ওভারে হাসান মাহমুদের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান স্ট্রেট ড্রাইভ করেছিলেন। মিড অফে থাকা মুশফিক ডাইভ দেন। সেখানেই আঘাত পেয়েছেন তিনি। মাঠেই মুশফিককে দেওয়া হয়েছিল প্রাথমিক চিকিৎসা। তবে মিনিটখানেক পর ফিজিওকে নিয়ে কাঁধ চেপে ধরে মাঠ ছাড়েন তিনি।
পরের ওভারেই সাকিব আল হাসান এনে দিয়েছেন আনন্দের উপলক্ষ্য। লেগবিফোরে ফেরান বাবর আজমকে। নিজের চিরচেনা আর্ম বলে বোকা বানিয়েছেন পাকিস্তানের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে। বাবরের প্রত্যাশা অনুযায়ী বল টার্ন করেনি। বল আঘাত হেনেছে প্যাডে। সাকিব আবেদন করতেই আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার।
দুই বল পরই আরেকটি উইকেটের দেখা পেতে পারতেন সাকিব। আগা সালমানের ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় শর্ট লেগে দাঁড়ানো জাকিরের হাতে। মিস করেছেন এই ফিল্ডার। তবু সেশনটা নিয়ে বাংলাদেশ তৃপ্তি পেতেই পারে। ৪ উইকেটের পতন ঘটেছে। ৩০ ওভারে পাকিস্তান তুলে ৮৪ রান। প্রথম সেশনের তুলনায় এই সেশনকে বাংলাদেশের জন্য সফল বলা যায়।
আজ টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বৃষ্টির কারণে চারদিনে নেমে আসা ম্যাচে টাইগাররা শুরুটা পায় দারুণ। রানের খাতা খোলার আগেই আবদুল্লাহ শফিককে বোল্ড করেন এ ম্যাচে একাদশে ফেরা তাসকিন আহমেদ।
তবে এরপর প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নেয় পাকিস্তান। সাইম আইয়ুব আর অধিনায়ক শান মাসুদের দৃঢ়তায় আর কোনো উইকেট না হারিয়েই লাঞ্চ বিরতিতে যায় তারা। বিরতির আগেই অর্ধশতক পূরণ করেন মাসুদ।
বিরতি থেকে ফিরে ফের আনন্দের উপলক্ষ পায় বাংলাদেশ। ৫৭ রান করা মাসুদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আরেক সেট ব্যাটার সাইমকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তিনি। স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরার আগে ৫৮ রান করেন এ ওপেনার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :