পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের শুরুটা ভালো হলেও ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় সেশনে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ৩০ ওভারে ৮৪ রান খরচ করে চার উইকেট তুলে নেয় শান্ত বাহিনী। তৃতীয় সেশনের শুরুতে আরও এক উইকেট তুলে নেন নাহিদ রানা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৩৬ রান। আঘা সালমান ২৭* রান এবং মোহাম্মদ আলি ০ রানে ব্যাট করছেন।
দ্বিতীয় দিন (শনিবার) টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। মাঠে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় টাইগাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আব্দুল্লাহ শাফিককে বোল্ড আউট করেন এক বছর পর টেস্ট দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ।
এরপর আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবকে সঙ্গে নিয়ে পাক শিবিরের হাল ধরেন অধিনায়ক শান মাসুদ। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে স্বাগতিকরা। সেই সঙ্গে নিজের দশম ফিফটি তুলে নেন শান মাসুদ। প্রথম সেশনে ৯৯ রানের জুটি গড়ে এই দুই ব্যাটার।
মধ্যাহ্নভোজ শেষে মাঠে ফিরে ২৮তম ওভারে শান মাসুদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ৬৯ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই পাক অধিনায়ক। অপর প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন সাইমও। তবে বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি তিনি। ৩৪তম ওভারে আইয়ুবকে (৫৮) আউট করে জোড়া উইকেট তুলে নেন মিরাজ।
পরের ওভারে চতুর্থ উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। নাহিদ রানা বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন সাউদ শাকিল। কিন্তু সেই ক্যাচ তালুবদ্ধ করতে ব্যর্থ হন মিরাজ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি শাকিল। ১৬ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড আউট হন তিনি।
এরপর বাবর আজমকে সঙ্গ দেন রিজওয়ান। দুজনের ব্যাটে চাপ সামলানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ৫৪তম ওভারে বাবরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ৩১ রান করে এই ব্যাটার আউট হলে ছন্দ হারায় পাকিস্তান। তবে অপর প্রান্ত আগরে রাখার চেষ্টা করেন রিজওয়ান।
কিন্তু রিজওয়ানকে ইনিংস বড় করতে দেননি তরুণ পেসার নাহিদ রানা। তার গুডলেন্থের বলে থার্ড ম্যান এরিয়ায় ক্যাচ তুলে দেন এই পাক ব্যাটার। এতে দলীয় ২১১ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
দিনের শেষ দিকে খুরাম শাহজাদকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করছেন আঘা সালমান। তবে মেহেদী মিরাজের তৃতীয় শিকার হন খুরাম শেহজাদ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :