টেনিস বিশ্বকে অবাক করেই ইউএস ওপেন থেকে ছিটকে গেছেন নোভাক জকোভিচ। সার্বিয়ান সুপারস্টার এবারে খেলতে নেমেছিলেন প্রতিযোগিতার হট ফেভারিট হিসেবেই। শুধু তাই নয়, জোকারের থেকে আশা করা হয়েছিল তিনি হয়ত নিজের বহুকাঙ্খিত ২৫তম গ্র্যান্ডস্লাম জেতার নজির গড়ে ফেলবেন এবারের ফ্লাশিং মেডোয়।
উইম্বলডনের অধরা রেকর্ডটা পূরণ করার লক্ষ্যে ইউএস ওপেনে নামলেও অপ্রত্যাশিতভাবে অস্ট্রেলিয়ান আনকোরা অ্যালেক্সি পপিরিনের বিপক্ষে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছেন জোকার। হারের পর নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন ফর্মের ধারে কাছে ছিলেন না। কিন্তু কি কারণে ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডেই ধরাশায়ী হতে হল তাকে, সেটা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি জোকার। চার সেটের লড়াইয়ে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান জকোভিচ।
প্রথম সেট থেকেই তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে এগিয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্সি পপিরিন। ম্যারাথন টেনিস ম্যাচে অনেক সময়ই দেখা যায়, শুরুটা খারাপ করলেও পরবর্তী সময় খেলা ধরে নেন তারকারা। এক্ষেত্রে অবশ্য জোকারকে তেমন সুযোগ দেননি পপিরিন, আবার ঘুরিয়ে একথাও বলা যায়। নিজের ছন্দের ধারে কাছে না থাকার জন্য কামব্যাক করতে পারেননি সার্বিয়ান তারকা।
প্রথম দুই সেটে পকেটে পুড়ে নিয়েছিলেন পপিরিন, তৃতীয় সেটে জকোভিচ কামব্যাক করলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি। খেলার ফল পপিরিনের পক্ষে ৬-৪, ৬-৪, ২-৬, ৬-৪। খেলার ফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে জকোভিচ প্রতি সেটেই লড়াই দিয়েছেন, কিন্তু কাঙ্খিত সাফল্য পাননি অলিম্পিক্সে সদ্য সোনা জেতা ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা।
ইউএস ওপেনে আনকোরা অ্যালেক্স পপিরিনের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর নোভাক জকোভিচ বলছেন, ‘আমার টেনিস কেরিয়ারের সব থেকে খারাপ খেলা খেলেছি। তাতে তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত যে উঠতে পেরেছি সেটাই বড় কথা। আমি অলিম্পিক্সের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছিলাম, এখানে যখন আসি তখন মানসিক এবং শারীরিকভাবেও ফিট ছিলাম না। যেহেতু এটা ইউএস ওপেন, তাই আমি না এসে থাকতে পারিনি, তবে জীবন এভাবেই এগিয়ে চলে। আমি চেষ্টা করব সামনের দিকে তাকাতে। কাল থেকে নতুন দিন হিসেবে শুরু করব ’।
২০১৭ সালের পর এই প্রথম এক মৌসুমে কোনও গ্র্যান্ডস্লাম জিততে পারলেন না জকোভিচ।ম্যাচে ১৪ডি ডবল ফল এবং ৪৯টি আনফোর্সড এরর করেন জোকার।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :