রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে এসে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ফলোঅনে এড়ানোর শঙ্কা জাগে। সেই সঙ্গে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ারও। তবে ৭ম উইকেটে পর লিটন ও মিরাজের জুটি সব শঙ্কা দূর করে ফলোঅন এড়ায়। সেই সঙ্গে জোড়া হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন এ দুই টাইগার ব্যাটার। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি ছিল লিটনের ১৮তম ও মিরাজের ৮ম হাফসেঞ্চুরি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩১ রান। লিটন (৬২) ও মিরাজ (৬৫) রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে পিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে পাক পেসারদের তোপে মুখ থুবড়ে পড়ে টাইগাররা। দিনের শুরুতে আগের দিনের ১০ রানের সঙ্গে আর ৪ রান যোগ করতেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মীর হামজার ওভারে আবরারকে ক্যাচ দিয়েছিলেন জাকির। কিন্তু থার্ড আম্পায়ারের কারণে বেঁচে যান তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় আবরার বল তালুবন্দি করার আগে তা মাটি স্পর্শ করে। জীবন পেয়েও সতর্ক হননি জাকির, আবারও সেই আবরারকেই ক্যাচ দেন। তবে এবার বোলার ছিলেন খুররাম শাহজাদ।
ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে আবারও বাংলাদেশ শিবিরে ধাক্কা দেন খুররাম। এবার তার শিকার হন সাদমান ইসলাম। ইনসুইং বলে অসতর্ক সাদমানের পেছনের স্টাম্প উড়িয়ে নেয় তার ডেলিভারি। এ ওপেনার করেন ১০ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে পথ দেখাতে ব্যর্থ হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
আগের ম্যাচে ১৯১ রানের বিশাল স্কোর করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া মুশফিক ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেননি। মীর হাজমার বলে আউটসাইড এজ হয়ে রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন। সাকিবকে এলবির ফাঁদে ফেলেন খুররাম। ৬ উইকেটের ৪টিই তুলে নেন খুররাম শেহজাদ। বাকি দুটি উইকেট পান মীর হামজা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :