প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। এবার পাকিস্তানকেই তাদের মাঠে ক্রিকেটের অভিজাত এই ফরম্যাটে হোয়াইটওয়াশ করাতে যাচ্ছে টাইগাররা। যার জন্য প্রয়োজন মাত্র ৬৮ রান। ম্যাচটিতে জিতলেই টেস্টে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের অমূল্য স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।
এই প্রতিবেদন পর্যন্ত বাংলাদেশ স্পর্শ করেছে দলীয় শতরান। বাংলাদেশের সামনে আর মাত্র ৬৮ রান। এরপরেই ২০০৯ সালের পর প্রথমবার দেশের বাইরে টানা দুই টেস্ট জয় করবে বাংলাদেশ। এছাড়া এটি হবে দেশের বাইরে বাংলাদেশের জন্য তৃতীয়বার টেস্ট সিরিজ জয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাঠে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করেছিল বাংলাদেশ। টাইগার ক্রিকেটে সেবারই প্রথম অধিনায়ক হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। গ্রেনাডায় তারই ৯৬ রানে ভর করে ২১৫ রানের টার্গেট পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি রানতাড়া করে জয়ের নজির।
এরপর থেকে দেশের বাইরে আরও ৬ টেস্ট জিতলেও আর কখনোই টানা জেতা হয়নি টাইগারদের। এছাড়া দেশের মাটিতে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তিন টেস্ট জয় করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৮ সালে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জেতে টাইগাররা।
নিজেদের ইতিহাসে চতুর্থবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের সামনে আপাতত খুব কঠিন কিছু অপেক্ষা করছে না। দলীয় ৫৮ রানে জাকির আর ৭০ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান। দুই ওপেনার মিলে ১০ ওভারে রান তুলেছেন পার করেছেন ৫০ এর মার্ক। এরপরেই অবশ্য বিপত্তি। মির হামজার বলে ব্যক্তিগত ৪০ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জাকির। গুড লেংথে পড়ে হালকা মুভমেন্টে বেরিয়ে যাওয়া বলটিতে লাইন মিস করেন জাকির। তাতে ভেঙেছে বাংলাদেশের ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি।
ক্রিজে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। সাদমান এবং শান্ত দুজনেই খেলছেন ধীরগতিতে। যদিও এরমাঝে একবার জীবন পেয়েছেন সাদমান। স্লিপে ক্যাচ দিলেও ফসকেছে তা। কিন্তু কুড়িয়ে পাওয়া জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। মিডঅফে আলতো শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শান মাসুদের হাতে। খুররাম পেয়েছেন নিজের প্রথম উইকেট।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :