পাকিস্তান তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা স্পিনার সাকলায়েন মুস্তাক। যখন ২২ গজে তিনি খেলতেন সেই সময়ে তাবড় তাবড় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেছেন তিনি। শচিন টেন্ডুলকার ,ব্রায়ান লারাদের মতন ব্যাটারদেরকে বারবার সমস্যায় ফেলেছেন তাঁর স্পিন বোলিংয়ে।
দীর্ঘদিন হল ক্রিকেট ছেড়েছেন তিনি।তবে তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। বর্তমানে তিনি অল্পবিস্তর কোচিংয়ের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন।এই সাকলিন মুস্তাকের পরামর্শ মেনেই এবার বাজিমাত করলেন এক তরুন,প্রতিভাবান ভারতীয় স্পিনার। ভারতীয় স্পিনার মহম্মদ এনান সাকলিন মুস্তাকের কথা শুনে পারফরম্যান্স করে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিরুদ্ধে আসন্ন তিন ফর্ম্যাটের সিরিজে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে এই দলেই সুযোগ পেয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়ের পুত্র সমিত দ্রাবিড়ও।
মহম্মদ এনানের বাবাকে সাকলিন মুস্তাক পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর তৎকালীন মাত্র ১২ বছর বয়সী পুত্রের বোলিং অ্যাকশনে যেন কোনরকম কোন পরিবর্তন করা না হয়। মাত্র একটা সহজ,সরল উপদেশ দেন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার। আর তা মেনেই ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দরজা খুলে গিয়েছে মহম্মদ এনানের। বর্তমানে ১৭ বছর বয়স এনানের। কেরলের বাসিন্দা তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তিনি পেয়েছিলেন তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম শিক্ষা। কারণ তাঁর বাবা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।সেই সময়ে তিনি আরব আমিরশাহিতে কাজ করতেন। সেখানেই সাকলিন মুস্তাকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মহম্মদ এনান এবং তাঁর বাবার। ওখানে একটি ছোট ক্রিকেট ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন সাকলিন।সেখানেই এনানের বাবা তার ছেলের নাম নথিভুক্ত করেন।
সাকলিন সেই সময়ে জানিয়েছিলেন ` ছেলেটা ভালো করছে। ভালো বোলিং করছে। ওর অ্যাকশনে কখনও কোন বদল আনার চেষ্টা করবেন না। ও যেটা করছে ওঁকে সেটা করতে দিন। এটাই ওঁর শক্তি।আর নিজের শক্তির উপর ভরসা করলে ও সাফল্য পাবেই।` এনানের বাবা জানিয়েছেন `ওই সময়ে আবার কেরালার দুজন কোচও আমিরশাহিতে ক্রিকেট ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন। আমাকে ওনারাই বলেন এনান বেশ প্রতিভাবান।এনানকে ভারতে এনে তাঁকে আরো বেশি প্রশিক্ষণ করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। একাধিক কোচ এনানের প্রতিভার কথা বলেন। আমরা তখন গোটা পরিবার ত্রিসূরে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। তবে আমি আমিরশাহিতে থেকে যাই। ওঁরা (ছেলে এবং বৌ) ভারতে ফিরে যায়। আমি আমিরশাহিতেই থেকে যাই।`
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :