দেশের জন্য ভালো কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন নাহিদ রানা। সিলেটে চলতি বছরের মার্চে শ্রীলংকার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হলেও প্রায় পাঁচ মাস জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি কোনো ম্যাচ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই পেসার এখন হয়ে উঠেছেন সকলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
দুই টেস্ট সিরিজে বল হাতে নিয়েছেন ৬ উইকেট। রাওয়ালপিন্ডিতে শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রতগতির বল ছুঁড়ে হৈচৈ ফেলে দেন। ১৫২ কিলোমিটার গতির সেই ডেলিভারি নিয়ে চলতে থাকে আলোচনার ঝড়।
স্পিডস্টার তকমা পাওয়া এই খেলোয়াড় অবশ্য সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনো ক্রিকেটারকে তিনি অনুসরণ করেন না। নিজের নামেই পরিচিত হয়ে সবার সামনে তিনি হাজিরের বার্তাই দিলেন। মঙ্গলবার বিসিবির প্রকাশিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেছেন, ‘আমি কারও মতো নই। আমি নাহিদ রানা, নাহিদ রানাই হতে চাই। সত্যি কথা, ঐভাবে কাউকে ফলো করি না। তবে আমার বাংলাদেশের সব পেসারদের ভালো লাগে। কারণ তাদের খেলা টিভিতে দেখে বড় হয়েছি।’
নিজের ছোঁড়া দ্রুতগতির ডেলিভারিকে আরো ছাড়িয়ে যাওয়ার ঘোষণাটা হাসিমুখেই দিলেন ডানহাতি এই পেসার। তার সাফ কথা, ‘১৫২ বা এর চেয়ে বেশি জোরে করতে হবে, এমনটা কখনো মনে করিনি। একটা জিনিসই মাথায় নিয়ে বোলিং করেছি, দল আমাকে যে পরিকল্পনা দিয়েছে, সেই পরিকল্পনায় বোলিং করেছি। আমার নিজের যে পরিকল্পনা ছিল, তা অনুযায়ী বোলিং করেছি।’
টেস্ট সিরিজ শেষে র্যাংকিংয়ে নাহিদের হয়েছে বড়সড় উন্নতি। ২২ ধাপ এগিয়ে ৯৭ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন টাইগারদের নতুন গতি তারকা। দলের জন্য অবদান রাখতে পারাটাকেই অবশ্য নীতি মুখ্য বিষয় হিসেবে দেখছেন।
‘আমি যেটা আশা করেছিলাম, দল যেটা আমার কাছে আশা করেছিল, তা করতে পেরেছি। দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলাম দেশের জন্য কিছু করতে চাই, তা করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।’
ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এবারো নিজের ছন্দ আর ফর্ম ধরে রাখতে চাওয়া নাহিদ বলেন, ‘প্রস্তুতি নিচ্ছি। যত ভালো প্রস্তুতি নেয়া যায়, ম্যাচে তত ভালো হবে। ভারত ভালো দল। তবে ক্রিকেটে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। ম্যাচে দেখা যাবে। দলকে সেরাটাও দেওয়া এখনো বাকি, ইনশাআল্লাহ দেবো।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :