টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকের নাম মুত্থাইয়া মুরলিধরণ। বিশ্বক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক যেমন এক এশিয়ান শচিন টেন্ডুলকার, তেমনই টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিকও শ্রীলঙ্কার মুত্থাইয়া মুরলিধরণ। এই মূহূর্তে টেস্টে উইকেটের নিরিখে মুরলির ধারে কাছে কেউ নেই। যারা আছে তারা ২৫০-র বেশি উইকেট পিছনে রয়েছে। এই মূহূর্তে দাঁড়িয়ে লঙ্কান কিংবদন্তি মনে করছেন কোনওভাবেই টেস্ট ক্রিকেটের তাঁর ৮০০ উইকেটের নজির ভাঙা সম্ভব নয় আগামী দিনে। এর কারণও জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই তারকা।
তাঁর মতে ক্রিকেটারদের কোয়ালিটিগত কারণে কেউ ৮০০ উইকেট নিতে পারবে না, তেমনটা নয়। বরং টেস্ট ক্রিকেটই বর্তমানে খুব বেশি খেলা হয় না। তুলনায় সব ফোকাসই চলে গেছে টি২০ এবং ওডিআইয়ের ওপর। সেই কারণেই কোয়ালিটি থাকলেও বোলারদের পক্ষে দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটে এই মাইলস্টোন ছোঁয়া যথেষ্টই কঠিন কাজ।
মুরলিধরণ বলছেন, ‘আমি টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে সত্যিই চিন্তিত। সব দেশ বছরে ৬টা বা ৭টা করে টেস্ট ম্যাচ খেলে। ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া হয়ত অ্যাসেজে খেলে। কিন্তু অন্যান্য দেশে খুব বেশি লোক টেস্ট ক্রিকেট দেখে না, ফলে খেলাও কম হয়। তাই আমার মনে হয় টেস্টে আমার ৮০০ উইকেটের রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হবে না। কারণ খেলার মোড় এখন ক্ষুদ্র সংস্করণের দিকে শিফট করেছে। আর আমি ২০ বছর ক্রিকেট খেলেছি, বর্তমানে এত দীর্ঘ কেরিয়ার বোলারদের হয়না’।
বর্তমানে নাথান লিয়ঁ রয়েছে ৫৩০ উইকেটে এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন রয়েছেন ৫১৬ উইকেটে। দুই ক্রিকেটারেরই বয়স ৩৬-এর বেশি। ফলে আরও প্রায় ২৭০-৩০০ উইকেট নেওয়ার মতো সুযোগ তাঁরা পাবেন না। কদিন আগেই অবসর নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন, তাঁর ঝুলিতে ছিল ৭০৪টি উইকেট। বর্তমানে ৩০ বছরের কমে থাকা বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি ২৯৯ উইকেট রয়েছে দঃ আফ্রিকার কাজিসো রাবাদার। তাঁর পক্ষেও আরও ১০ বছর একই ছন্দে কাটানো এবং আরও ৫০০ উইকেট নেওয়াও কার্যত অসম্ভব। এই সব কারণেই মুরলি বলছেন, ধারাবাহিকতার একটা অভাব দেখা দেবেই। কারণ অনেকগুলো ফরম্যাট নিয়ে একসঙ্গে ভাবতে হয়। তাই একটা ফরম্যাটে অভিজ্ঞতা সঞ্জয় করা অত সহজ না।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :