আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ এবং কোপা আমেরিকার ট্রফি জয়ের অন্যতম নায়ক হলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।ট্রফি নিয়ে বিশেষ উদযাপন, পেনাল্টি কিকে প্রতিপক্ষকে নার্ভাস করে দেয়া কিংবা বিশেষ সব নাচের কারণে সমালোচিত হয়েছেন তিনি।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার কাছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের পর আবারও বিতর্কেই নাম লেখালেন তিনি।
৬০তম মিনিটে আর্জেন্টিনার বক্সে ফাউলের শিকার হন দানিয়েল মুনোস। রেফারি পেনাল্টি দেওয়ায় বিতর্কে জড়াই আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি রদ্রিগেস। হামেসের শক্তিশালী শটের কাছে পাত্তা পায়নি মার্টিনেজ। এতেই ম্যাচ হেরে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ হারার ক্ষোভেই বোধকরি নিজেকে সামলাতে পারলেন না আর্জেন্টাইন গোলকিপার। ম্যাচশেষে টেলিভিশন ক্যামেরায় ধাক্কা দিয়ে বসেন আর্জেন্টিনার সর্বজয়ী এই গোলরক্ষক। এই নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এমন আচরণে শাস্তিও পেতে পারেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে একেবারে ম্যাচের শেষে। ২-১ গোলে হারের পর মনমরা মার্টিনেজ তখন কলম্বিয়ার কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে সৌজন্যমূলক ভাবে হাত মিলিয়ে ফিরছিলেন। তখনই তার সামনে ক্যামেরা দেখলে সেটাকে থাপ্পড় মেরে বসেন। মার্টিনেজের কারণে লাইভে থাকা ক্যামেরার মুখ চলে যায় অন্যদিকে।
এদিন পুরো পুরো ম্যাচেই দুয়োধ্বনি সইতে হয়েছে মার্টিনেজকে। কলম্বিয়ার ভক্তরা জড়ো হয়েছিলেন প্রতিশোধ দেখার আশায়। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই দুয়ো দিয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে। সঙ্গে ৩২৪ মিনিট পর জাতীয় দলের হয়ে গোল হজম করেছেন মার্টিনেজ।
এ ছাড়াও ক্যারিয়ারে মাত্র ৪র্থবার আর্জেন্টিনার জার্সিতে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে গোল হজম করেছেন। সেট পিস থেকে মাত্র তৃতীয়বার। আর ক্যারিয়ারে মাত্র ৫ম বার একই ম্যাচে দুই বা এর বেশি গোল হজম করেছেন মার্টিনেজ। তাই মেজাজ হারানোটাই হয়ত স্বাভাবিক তার জন্য।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মারাকানায় ব্রাজিল পুলিশের আক্রমণের শিকার হয়েছিল আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা। সেই ম্যাচেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করেছিলেন এই ফুটবলার। উত্তেজিত মার্টিনেজে তখন কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীকে থাপ্পড় মেরেছিলেন। এরপর শাস্তিও পেতে হয়েছিল। এবারের বিষয়টি কোন নজরে নেবে ফিফা, সেটাই এখন প্রশ্ন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :