পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) কখন কে কোন দায়িত্বে আসে, কখন কোন সিদ্ধান্ত নেয় তা বলা মুশকিল। প্রতি মুহূর্তেই রদবদল আর পরিবর্তন। কেউ ছাঁটাই হচ্ছেন বোর্ড থেকে আবার কেউ নতুন করে হচ্ছেন যুক্ত।
বোর্ডের প্রধান হিসেবে মহসিন নাকভি যুক্ত হওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত পালাবদল ঘটছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে। তবে এতে করে মাঠের ক্রিকেটে অন্তত সুদিন ফিরছে না ম্যান ইন গ্রিনদের।
কয়দিন আগেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। এরপরই পিসিবিতে শুরু হয়েছে পালাবদলের হাওয়া। অধিনায়কের পদে রদবদলের গুঞ্জন বাতাসে ভাসছে প্রবলভাবে। যদিও দুই কোচ গ্যারি কার্স্টেন এবং জেসন গিলেস্পি বর্তমান অধিনায়কদের ওপরেই রাখছেন আস্থা। তবে ২২ সেপ্টেম্বর বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সভার পর এর চিত্রটা বদল হতেও পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে ছাঁটাই হলেন ১১ জন কর্মকর্তা। এদের প্রত্যেকেই ছিলেন বোর্ডের অ্যানালিসিস্ট। মোট ২৬ জন অ্যানালিস্টের পরীক্ষা শেষে তাদের পুরোপুরি বোর্ড থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ১১ জনের ভিডিও এবং ডেটা অ্যানালাইসিস বোর্ডের কর্তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
পাকিস্তানের ক্রিকেটের একাধিক সূত্রের ভাষ্য, বোর্ডের প্রধান মহসিন নাকভির কথাতেই এমন পরীক্ষায় নামতে হয়েছিল দেশটির ক্রিকেটের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা অ্যানালিস্ট। একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২৬ জনের করা ভিডিও এবং ডেটা অ্যানালাইসিস মূল্যায়ন করার জন্য। সেখান থেকেই বাদ পড়েছেন ১১ জন।
বাকি থাকা ১৫ জনকেই আপাতত দেশের ক্রিকেটের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। তবে ঠিক কারা এমন আকস্মিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন বা কারা টিকে গিয়েছেন তা জানার উপায় নেই।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :