ইউরোপের মহাদেশীয় ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফার সাধারণ সম্পাদক থিওডোর থিওডোরিস ব্রিটেনের সংস্কৃতি সচিব লিসা ন্যান্ডিকে চিঠি লিখেছেন। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, পরিকল্পনাধীন নতুন রেগুলেটর বা নিয়ন্ত্রকের উপর সরকারি হস্তক্ষেপ থাকলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে ইংল্যান্ড।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘ফুটবলে কোনো ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপ চলবে না। চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে উয়েফা থেকে ফেডারেশন এবং প্রতিযোগিতা থেকে দলকে বাদ পড়তে হবে।’
ইংল্যান্ডের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলই অনেক দিন ধরে নিয়ন্ত্রকের ধারণাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে তাদের যুক্তি হচ্ছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিজেদের বিষয়গুলো ঠিকঠাকভাবে নিয়ন্ত্রণে অক্ষম। নিয়ন্ত্রক একটি লাইসেন্সিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধান করবে, যাতে ক্লাবগুলো টেকসইভাবে পরিচালিত হয়। একইসঙ্গে একটি শক্তিশালী মালিক এবং পরিচালকদের পরীক্ষা নেয়া হয় এবং মূল সিদ্ধান্তগুলোতে সমর্থকদের আরো বেশি কথা বলার সুযোগ থাকে ।
যদিও বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না উয়েফা। লিসা ন্যান্ডিকে পাঠানো চিঠিতে সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘আমাদের উদ্বেগ বিদ্যমান রয়েছে। সাধারণত ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ জাতীয় ফেডারেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিৎ। ফুটবল পরিচালনায় কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ করা উচিৎ নয়।’
‘আমাদের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে যা খেলাধুলার স্বায়ত্তশাসন এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ন্যায্যতা নিশ্চিতের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করে। ফলে এই জায়গাটিতে হস্তক্ষেপের ফল হবে উয়েফা থেকে ফেডারেশন ও প্রতিযোগিতা থেকে কোনো দলগুলোকে বহিষ্কার করা।’
ন্যান্ডি এখনো চিঠির জবাব দেননি বলে জানা গেছে, তবে ব্রিটিশ সরকার এবং ইংল্যান্ডের ফুটবল ফেডারেশনের কর্তৃপক্ষ জোলালোভাবে দাবি করছেন, একটি ন্যায্য এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা কার্যকর নিশ্চিতে সব পক্ষের সাথে তারা কাজ করবে। ব্যক্তিগতভাবে কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, ইংল্যান্ডের ইউএফার নিষেধাজ্ঞার কোনো ঝুঁকি নেই।
২০২৮ সালের ইউরো যৌথভাবে আয়োজন করবে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। তবে নিয়ন্ত্রকের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ থাকলে ইংল্যান্ড আসরটি আয়োজন তো দূরের কথা, উল্টো নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়বে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :