আজ (১৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার) মন্ত্রনালয়ের নিজস্ব কার্যালয়ে নেপালে অনুষ্ঠিত 3rd NSRA Inter Club International Squash Tournament 2024-এ রানাস্আপ ট্রফি বিজয়ী বাংলাদেশ পুরুষ ও মহিলা স্কোয়াশ দলের সাথে মাননীয় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সৌজন্যে স্বাক্ষর ও খেলোয়াড়দের আরো ভালো খেলার জন্যে উৎসাহিত করেন।
সীমিত সম্পদ ও হাজারো বাঁধ/প্রতিবন্ধকতার মধেও গত চার বছর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমরা মৃত্যুপ্রায় স্কোয়াশ খেলাকে বাংলাদেশ পূন:জন্ম প্রদান, পরিচিতি দান, প্রচলন ও প্রসার করতে পেরেছি। তার একটা প্রমান হ`ল সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত আন্ত ক্লাব আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগীতা ২০২৪-এ পুরুষ গ্রুপে রৌপ্য ও সিলভার পদক এবং মেয়ে গ্রুপে রৌপ্য পদকসহ ১১ জনের দলের নয়টি মেডেল লাভ।
গত ১১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালের কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত 3rd NSRA Inter Club International Tournament 2024-এ খুবই সীমিত সাপোর্ট ও স্বল্প অভিজ্ঞ বাংলাদেশ পুরুষ ও মহিলা স্কোয়াশ দল খুবই চমকপ্রদ এবং আশাব্যাঞ্জক ফলাফল অর্জন করেছে। পুরুষ বিভাগে একটি পাকিস্তানী ও একটি ইংল্যান্ডের দলসহ ১৪ টি দলের মধ্যে সেনাবাহিনীর শাহাদাৎ আপন ও কামরুলকে নিয়ে গঠিত দল রৌপ্য পদক এবং বিকেএসপির আমীরুল ও সাইমুনের সাথে ভাষানটেক কলেজের সৌকতকে নিয়ে গঠিত তরুন (দ্বিতীয়) দল সিলভার পদক লাভ করেছে।
পাশাপাশি মারজান (আই ইউ বি), চাঁদনী (উত্তরা স্কুল) ও নাবিলাকে (নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল) নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম মহিলা স্কোয়াশ দল ছয়টি দলের মধ্যে রৌপ্য পদক লাভ করে ইতিহাসের অংশ হয়েছে।
উল্লেখ্য যে নেপালের মূল স্কোয়াশ দলটি খুবই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন যারা নিয়মিত ভাবে এস এ গেইমস্, এশিয়ান গেইমস্ ও কমনওয়েলথ গেইমস-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ এবং বিদেশে দীর্ঘ মেয়াদি কোচিং নিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় নেপাল পুরুষ দলের সদস্য আনান্দ (২৭) সম্প্রতি একবছর ইংল্যান্ড এবং তিন বছর মালয়েশিয়ায় স্কোয়াশ কোচিং নেওয়ার পাশাপাশি আনান্দ ও অমিত (২৮) ২০১৬ ও ২০১৯ সালে এস এ গেইমস এবং ২০১৮ ও ২০২৩ সালে এশিয়ান গেইমস্ এবং অপর সদস্য অমির (২৬) ২০১৯ সালে এস এ গেইমস ও ২০২৩ সালে এশিয়ান গেইমসে অংশগ্রহণ করেছে। এমন কি অপর সদস্য দীপক (২৫) ২০১৯ সালে এস এ গেইমসে অংশগ্রহণ করেছে।
তদরুপ ভাবে মহিলা দলের শোয়াসস্তানী (২৭), বিপানা (২৭) ও ক্রীশনা (৩০) অনেকগুলো এস এ গেইমস ও এশিয়ান গেইমসে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশ দলের শাহাদাৎ (২৮) এবং বিকেএসপির আমীরুল (১৭) ও সাইমুন (১৭) ছাড়া কারো আন্তর্জাতিক খেলার (মাত্র ১/২ টা খেলার) অভিজ্ঞতা নেই। দলের অপর সদস্য সৈনিক আপন (২১), সৈনিক কামরুল (১৭), সৈকত (১৭) এবং মহিলা দলের মারজান (২২), নাবিলা (১৫) ও চাঁদনীসহ (১৩) অন্যান্য সদস্যরা শুধু অনভিজ্ঞই নয় বরং বয়েসেও খুবই নবীন যাদের পিছনে ইনভেস্ট করলে তারা এমন কি ১২/১৫ বছর দেশের জন্যে খেলতে পারবে।
সেই প্রেক্ষিতে আগামী এস এ গেইমস ও এশিয়ান গেইমসের পূর্বে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ এবং ভালো ফলাফল করা বাংলাদেশে স্কোয়াশ ও খেলোয়াড়দের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় একটা পরীক্ষা ছিল।
গত চার বছর অক্লান্ত পরিশ্রম ও গঠনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে স্কোয়াশ ফেডারেশন মৃত্যু প্রায় খেলাটির নবজন্ম, নবজাগরণ, উন্নতি, প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছে তা আমাদের জন্যে খুবই আশাব্যাঞ্জক বিষয়। আমরা নিশ্চিত এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ স্কোয়াশ আগামীতে খুব ভালো করবে এবং দেশের মান বৃদ্ধি করবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :