তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার ১০ ওভারের চেয়ে কম বাকি থাকলেও মাঠে আলো কমে আসায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তৃতীয় দিনের খেলা শেষের ঘোষণা দিয়েছে আম্পায়াররা। তার আগে ২৯৮ দিন পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পান বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৪র্থ অর্ধশত।
তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩৭৬ ও ২৮৭/৪ ডি. করেছে ভারত। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অল আউট হওয়া টাইগারদের ম্যাচ জিততে প্রয়োজন আরো ৩৫৭ রান।
রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় সেশনে পাওয়া ১৩ ওভার নির্বিঘ্নে কাটান জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। দুজনের ব্যাটে প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে টেস্টে ওপেনিং জুটিতে ফিফটির দেখা পায় বাংলাদেশ।
তবে তৃতীয় সেশনে এসে আর অবিচ্ছিন্ন থাকতে পারেননি দুজন। প্রথমে বুমরাহর বলে ৩৩ রানে জাকির ও অশ্বিনের বলে ৩৫ রানে সাদমান সাজঘরে ফেরেন। মুমিনুল ও মুশফিক কেউই ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
একপ্রান্তে সতীর্থরা আসা যাওয়ার মাঝে থাকলেও অবিচল ছিলেন শান্ত। অস্বিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূরণ করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন সাকিব।
দিনের প্রায় ১০ ওভারের খেলা বাকি থাকতে আলোক স্বল্পতার অভাবে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। শেষ পর্যন্ত আর খেলা মাঠে না গড়ালে এখানেই শেষ হয় তৃতীয় দিনের খেলা। শান্ত ৫১ ও সাকিব ৫ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে তিন উইকেটে ৮১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন শুভমান গিল ও রিশাভ পান্ট। প্রথম সেশন নির্বিঘ্নেই কাটান দুজন। এরপর দ্বিতীয় সেশনে দুজনেই পান সেঞ্চুরির দেখা।
ব্যক্তিগত ১০৯ রানে পান্ট আউট হলে ভাঙে গিলের সঙ্গে তার ১৬৭ রানের বিশাল জুটি। চার উইকেটে ২৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ১৯ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে কেএল রাহুল ও ১১৯ রানে গিল অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ পায় ৫১৫ রানের লক্ষ্য।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :