যত দিন যাচ্ছে ক্রীড়াক্ষেত্রে ততই বেশি বিজ্ঞাপন যুক্ত হচ্ছে। স্পন্সরদাতাদের বেশি করে দর্শকের সামনে তুলে ধরতে আগের চেয়ে খেলাও বেশি আয়োজন করতে হচ্ছে। যার ফলে আসছে নতুন নতুন টুর্নামেন্ট। যার মাধ্যমে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে খেলোয়াড়দের সমস্যার দিক।
ইউরোপিয়ান ফুটবলে গত কয়েক বছরে নতুন অনেক টুর্নামেন্ট চালু হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফরম্যাট, বেড়েছে দলের সংখ্যা। ফলে ম্যাচসংখ্যাও আগের তুলনায় এখন বেশি। যার ধকলটা যাচ্ছে খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে।
খেলতে খেলতে তারা ক্লান্ত, পান না পর্যাপ্ত ছুটি, ফলে বাড়ছে ইনজুরি- এমন অভিযোগ অনেকের। বিষয়টি নিয়ে খোদ খেলোয়াড়রাই সরব হয়েছেন। এর আগে ম্যানচেস্টার সিটির রদ্রি ঠাসা সূচির প্রতিবাদে ধর্মঘটে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।
রদ্রি বলেছিলেন, আমি মনে করি আমরা (ধর্মঘটে যাওয়ার) কাছাকাছি আছি। এটা বোঝা সহজ, যেকোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করুন, সবাই একই কথা বলবে। আর যদি এভাবেই চলতে থাকে, একটা সময় এমন মুহূর্ত আসবে যখন আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না।
ফুটবলারদের মতো এবার টেনিসে ঠাসা সূচির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন স্প্যানিশ তারকা কার্লোস আলকারাজ। লেভার কাপে জয় পেয়ে ২১ বছর বয়সি এই টেনিসার বলেন, ‘এখন অনেক খেলোয়াড়ই সব প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। চোট সারবে না তাদের।
কখনো কখনো প্রতিযোগিতা খেলতে যেতেই ইচ্ছা করে না। সত্যি বলছি, আমার নিজেরও এমনটা মনে হয়েছে অনেকবার। খেলার ইচ্ছাটাই হয় না। বার বার বলেছি, আমি নিজের সেরাটা তখনই খেলি, যখন আমি হাসি মুখে টেনিস খেলছি।’
এ বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন ওপেনের শিরোপা জিতেছেন আলকারাজ। কিন্তু ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যান। সেই হারের দায় আলকারাজ দিলেন অলিম্পিক ও ইউএস ওপেনের মাঝে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানকে।
তিনি বলেন, ‘অলিম্পিকের পর আমি বিশ্রাম নিয়েছিলাম কয়েক দিনের জন্য। ভেবেছিলাম তাতেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারব। কিন্তু সেটা মনে হয় যথেষ্ট ছিল না। আমার মধ্যে খেলার সেই শক্তি ছিল না। আমাকে এই বিষয়টা শিখতে হবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :