চাপ সামলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ডেলভারিতে লেগ বিফোরে কাটা পড়ে মাঠ ছেড়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান। মুমিনুল হক ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রানে ক্রিজে আছেন।
অশ্বিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল সামনের পায়ে ভর করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে যান শান্ত। হালকা টার্ন হওয়া বল তার প্যাডে আঘাত হানার পর ভারতীয় খেলোয়াড়দের লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা পাননি ৫৭ বলে ৬ চারে ৩১ রান করা টাইগার কাপ্তান। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে তিনি ৫১ রানের জুটি গড়েন।
দুই ওপেনারের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন আকাশদীপ। স্যাঁতসেঁতে উইকেটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম সেশনটা সফরকারীদের জন্য কঠিন বানিয়ে দেন এই ডানহাতি পেসার।
ওপেনার জাকির হাসান টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে সময় পেরোনোর কৌশলে খেলছিলেন । ২৪ বল খেলে উইকেটে থিতুও হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন। আকাশদীপের অফ স্টাম্পের বাইরের বল চালাতে গিয়ে স্লিপে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে ধরা পড়েন। টিভি আম্পায়ার বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হন নিচে হয়ে আসা বলটি মাটিতে লাগেনি, সরাসরই ফিল্ডারের তালুতে জমা পড়ে। তাতে সফরকারীদের ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে।
ব্যাট হাতে বেশ সাবলীলভাবেই সাদমান ইসলাম ক্রিজে ছিলেন। দলীয় রানের অধিকাংশই তার ব্যাটেই এসেছে। এরপর ঘটল বিপদ। পেসার আকাশদীপের ডেলিভারিতে বল তার প্যাডে আঘাত হানলেও আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় ভারত। সাদমানকে তাই ৩৬ বলে ৪টি চারে ২৪ রান করে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়েছিল, বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি। প্রথম দিনেই সেই পূর্বাভাসের সত্যতা পাওয়া গেল। বৃষ্টির পর মাঠ ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর আরম্ভ হয় ম্যাচ। টাইগারদের একাদশে আনা হয় দুই পরিবর্তন।
তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা সিরিজের শেষ টেস্টে খেলছেন না। তাদের পরিবর্তে একাদশে রয়েছেন খালেদ আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। ভারত কানপুর টেস্টের একাদশ অপরিবর্তিত রাখে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :