AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশ মালিকানাও ছিল না মাশরাফীর


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
১০:২৯ এএম, ১ অক্টোবর, ২০২৪
সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশ মালিকানাও ছিল না মাশরাফীর

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সারোয়ার গোলাম চৌধুরী।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলাটি করেন সারোয়ার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্ব কেনার সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের ভেরিফায়েড পেজে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দাবি, মাশরাফীর দলটিতে এক শতাংশের মালিকানাও ছিল না। মামলার বাদী নিজেই একপর্যায়ে মালিকানা ছেড়ে দেন। আইনগতভাবেই বিষয়টি মোকাবিলার কথাও এতে জানানো হয়। পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল।

‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার কখনো ছিল না। এখনও নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।’

‘এবার আপনাদের একটি গল্প শোনাই। বিপিএলের প্রথম আসরে অংশ নিয়েই সাড়া জাগিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরফির নেতৃত্বে আমরা রানার্স আপ হয়েছিলাম। মাঠের ভেতরে-বাইরে আমাদের পেশাদারিত্ব, সিলেট সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে সারা দেশের সমর্থকদের সম্পৃক্ত করতে পারা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমাদের উপস্থাপনা, সবকিছুই ছিল দারুণ প্রশংসিত। তার পরও দ্বিতীয় মৌসুমে আমাদের দল গঠন প্রক্রিয়ায় কেন ধস নামে?’

‘শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল সারোয়ার গোলাম চৌধুরীর। সহ-স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে সক্রিয় হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। কিন্তু যখন ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচের পালা আসে, ক্রমে তাকে পিছু হটতে দেখা যায়। অনেক ক্রিকেটার ও ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন সদস্যের পারিশ্রমিক, পরিচলন খরচ ও আরও বিভিন্ন খাতে তার অংশের কয়েক কোটি টাকা বাকি রেখেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার সঙ্গে যোগাযাগ করা হলে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ তিনি নেননি।’

‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সদস্য ও সংশ্লিষ্ট অনেকেরই এটা জানা।’

‘শেষ পর্যন্ত পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে গত বছরের আগস্টে তিনি নিজ থেকেই অন্যান্য স্বত্বাধিকারীর ওপর মালিকানা ছেড়ে দেন। বিসিবিকেও তিনি ই-মেইল দিয়ে নিজের সরে যাওয়ার কথা জানান।  
পরের মৌসুমের বিপিএলের আগে পুরোনো সেসব দেনা শোধ করতেই নতুন স্বত্বাধিকারীদের হিমশিম খেতে হয়। এটিও ফ্র্যাঞ্চাইজি সংশ্লিষ্ট সবারই জানা।’

‘সব মিলিয়ে পুরোনো দেনা শোধ করতেই আমাদের এতটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় যে, দ্বিতীয় মৌসুমে ভালো দল গড়ার মতো যথেষ্ট তহবিল আমাদের ছিল না। সীমিত বাজেটের মধ্যেই কোনোরকমে আমরা দল গড়ে টুর্নামেন্ট পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করি। খুব ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আমরা আনতে পারিনি। এজন্য সিলেটের ক্রিকেট অনুসারী থেকে শুরু করে সমর্থকদের অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি আমাদের হতে হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল আমাদের জন্য কঠিন।’

‘এখন সাম্প্রতিক পালাবদলের পর দেশ যখন নতুন যুগের সন্ধিক্ষণে, তখন পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে। তাই সিলেট স্ট্রাইকার্সের ভক্ত-সমর্থক ও দেশের ক্রিকেট অনুসারীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরলাম। আইনী ব্যাপার আমরা আইনগতভাবেই মোকাবিলা করব।’

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!