ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।ম্যাচ শেষে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সাংবাদিকদের বললেন, আমাদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। কীভাবে আমরা কামব্যাক করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের সবারই দায়িত্ব নিতে হবে।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ফেরেন লিটন দাস। সেই শুরুর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। বেশিরভাগ ব্যাটারই রীতিমতো উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন।
এ নিয়ে শান্তর ভাষ্য, ‘আমি যে অ্যাপ্রোচের কথা বলেছিলাম, সে জন্য ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হবে বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। যারা ওখানে ভালো খেলছে, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
‘কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে নিয়ে বলতে চাই না। আমরা সবাই মিলেই ব্যর্থ হয়েছি। আক্রমণাত্মক মানসিকতা থাকবেই, তবে কখন কোন শট খেলব, এটা বুঝতে হবে। এখনই এই অ্যাপ্রোচ বদলাতে চাই না। আমাদের এভাবে খেলে যেতে হবে, তবে ভালো শট নির্বাচন করতে হবে।’
টি-২০ ফরম্যাটে লাগাতার খারাপ করতে থাকা নিয়েও নিজের মতামত তুলে ধরেন লাল-সবুজের দলের অধিনায়ক। অতীত টেনে এনে বললেন, ‘আমি যদি গত ১০ বছর দেখি, আমরা এ রকমই ব্যাটিং করে যাচ্ছি। মাঝেমধ্যে হয়তো ভালো ব্যাটিং করি।’
জঘন্য পারফরম্যান্সের পরও অবশ্য এই বাঁহাতি ব্যাটারের দাবি, তার দল এতটা খারাপ দল নয়। যদিও টি-২০ ফরম্যাটে ভালো না করার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে নেন। তিনি যোগ করেন, ‘খারাপ হয়েছে যে সেটাও বলবো না। আমার মনে হয় যে, এর থেকে আমরা ভালো দল। শেষ অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে আমরা ভালো পারফরম্যান্স করছি না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না আমরা এত খারাপ দল।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে শান্ত জানিয়েছিলেন, ভারত সিরিজ থেকে ক্রিকেটারদের মাঝে ভিন্ন এক অ্যাপ্রোচের দেখা মিলবে। বাস্তবে তার কোনোকিছুই চোখে পড়েনি। ব্যাটারদের বাজে শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখাটাও এখন নিয়মিত ব্যাপার।
শান্তর মন্তব্য, ‘আমি যে অ্যাপ্রোচের কথা বলেছিলাম, সে জন্য ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হবে বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। যারা ওখানে ভালো খেলছে, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
‘আমাদের স্ট্রাইক রেটে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুধু মারকাটারি ব্যাটিং নয়। হাতে যদি কয়েকটা উইকেট থাকত তাহলে আমরা আরও কিছু রান যোগ করতে পারতাম। আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি। এমন উইকেটে বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন। আমাদের আরও বেশি রান প্রয়োজন ছিল। আমার মনে হয় রিশাদ এবং ফিজ কিছু ভালো ওভার করেছে।’
দিল্লিতে আগামী ৯ অক্টোবর দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর কথাও বললেন, ‘ঘুরে তো দাঁড়াতেই হবে। কীভাবে আমরা কামব্যাক করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের সবারই দায়িত্ব নিতে হবে।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :